দর্শনায় সুদের ব্যবসার ফাঁদে নিঃস্ব সাধারণ মানুষ

দর্শনা অফিস

দর্শনায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধ সুদ ব্যবসা। প্রভাবশালী মহল আইন অমান্য করে চড়া সুদে টাকা লেনদেন করছে, ফলে ভুক্তভোগী হচ্ছেন কৃষক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। মানুষের অভাব-অনটন ও জরুরি প্রয়োজনকে পুঁজি করে একটি চক্র বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই নির্বিঘ্নে সুদের ব্যবসা চালাচ্ছে। আর্থিক সহায়তার নামে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বছরের পর বছর এই বাণিজ্য চালিয়ে আসছে তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলে চাষাবাদের খরচ ও সংসারের ব্যয় মেটাতে কৃষক ও নিম্ন আয়ের মানুষ বাধ্য হয়ে সুদ ব্যবসায়ীদের দ্বারস্থ হন। কেউ দোকান খুলে, কেউ নিজ বাসায় আবার কেউ ভ্রাম্যমাণভাবে সুদের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। টাকার বিপরীতে কেউ স্বর্ণালংকার জমা রাখেন, আবার কেউ বিশ্বাসের ভিত্তিতে লেনদেন করেন। স্থানীয় প্রভাবশালীদের পাশাপাশি কিছু নারীও এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

বর্তমানে দর্শনা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে অনেকেই এ ব্যবসায় সক্রিয় রয়েছে। অধিকাংশই গোপনে এ ব্যবসা করছে। এতে সাধারণ মানুষ পড়ছেন ঋণের ফাঁদে। সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে। গত ৭ সেপ্টেম্বর রিমন নামের এক ব্যক্তি স্বর্ণ বন্ধক রেখে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন। শর্ত ছিল, এক ঘণ্টার মধ্যে ফেরত দিলে ৬ হাজার টাকা সুদ দিতে হবে এবং ১৫ দিন পর ফেরত দিলেও একই অঙ্ক দিতে হবে। কিন্তু গত ৯ সেপ্টেম্বর টাকা ফেরত দিতে গেলে সুদের অঙ্ক নিয়ে দ্বন্দ্ব বাঁধে দর্শনা পুরাতন বাজারের বন্ধু জুয়েলার্স এর কর্ণধর সঞ্জয় সান্তারার সঙ্গে। এ নিয়ে হামলার ঘটনাও ঘটে এবং পরে দর্শনা থানায় মামলা হয়।

এ প্রসঙ্গে দর্শনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইসলামে সুদের ব্যবসা সম্পূর্ণ হারাম। অথচ দর্শনায় এ ব্যবসা প্রকাশ্যে চলছে, যা সমাজের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *