অনলাইন ডেস্ক
দাবানলের কারণে তুরস্কের গ্যালিপোলি উপদ্বীপের দারদানেলেস প্রণালী সংলগ্ন সাতটি গ্রাম থেকে হাজারো মানুষকে সিরয়ে নেওয়া হয়েছে।কর্মকর্তারা জানিয়েছে, প্রচন্ড বাতাসে সৃষ্ট তীব্র দাবানল নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গত শনিবার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কানাক্কাল প্রদেশে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং ব্যস্ত জাহাজ চলাচল প্রণালীর তীরে গেলিবোলু শহরের কাছে পাহাড়ে দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। ২টি বিমান, ১৮টি হেলিকপ্টার এবং মাটিতে ৩৪৩টি যানবাহনে ১ হাজার ৩০০ জন লোক আগুন নেভানোর জন্য লড়াই করছে।
কানাক্কালের গভর্নর ওমর তোরামান এক্স-এ লিখেছেন, রাতে পাঁচটি গ্রাম থেকে প্রায় ২৫০ জন বাসিন্দাকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, রবিবার আরও দুটি গ্রাম খালি করা হয়। তবে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের মোট সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
ওমর বলেন, এখনও পর্যন্ত, সরিয়ে নেওয়া এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েনি তিনি আরও লিখেছেন, উপদ্বীপের ওয়ার সেমিট্রিগুলো আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তিনি বলেন, প্রাচীন ট্রয়ের ধ্বংসাবশেষ এবং গ্যালিপোলির যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শনকারী পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় প্রদেশটি গত বছর ‘অত্যন্ত তীব্র খরার’ শিকার হয়।
যুদ্ধ স্মারক পরিচালনাকারী একটি সংস্থা জানিয়েছে, ‘চলমান বনের আগুনের কারণে’ এসিকেট শহরের কাছে ঐতিহাসিক স্থানগুলোয় প্রবেশ বন্ধ রয়েছে।
বছরের এই সময় আবহাওয়া মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও, তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশে সাম্প্রতিক দিনগুলোয় প্রবল বাতাস বয়ে গেছে। তবে রবিবার তা কমে যাওয়ায় আগুন নেভানোর প্রচেষ্টা অনেকটা সহজ হয়েছে।
সোমবার, প্রণালীর দক্ষিণ দিকে আরেকটি আগুনে দুই সহস্রাধিক মানুষ পালিয়ে যায়। গত সপ্তাহে দাবানলের কারণে ভূমধ্যসাগরকে মারমারা সাগর ও কৃষ্ণ সাগরের সঙ্গে সংযুক্তকারি দারদানেলেস প্রণালী দিয়ে জাহাজ চলাচল স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
ইউরোপীয় বন অগ্নি তথ্য ব্যবস্থাপনা (ইএফএফআইএস)-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়, এই বছর তুরস্কে ১৯২টি দাবানলে ১লাখ ১০ হাজার ৩৭৩ হেক্টরের বেশি জমি ধ্বংস করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘন ঘন ও তীব্র দাবানলের পাশাপাশি অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে এবং তুরস্ককে এই সমস্যা মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।