লঘুচাপের প্রভাবে অতিবৃষ্টি, সমুদ্র ও নদীবন্দরে সতর্কতা জারি

অনলাইন ডেস্ক


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ঘনীভূত হচ্ছে ধীরে ধীরে। এই লঘুচাপের প্রভাবে আগামী পাঁচ দিন দেশের অনেক স্থানে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণের শঙ্কা রয়েছে। আগামীকাল থেকে রংপুর ও উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য এলাকাতেও বাড়তে পারে বৃষ্টির মাত্রা।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলের অদূরে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। এর প্রভাবে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এই আবহাওয়াগত অবস্থার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ অবস্থায় আজ ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেটের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে।

শনিবার রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আর তৃতীয় দিন থেকে (১৭ আগস্ট) রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে পারে, এমনকি অতি ভারী বর্ষণও হতে পারে।

চতুর্থ ও পঞ্চম দিন (১৮–১৯ আগস্ট) রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাশাপাশি খুলনা ও বরিশালের বিভিন্ন এলাকায়ও বৃষ্টি তীব্র হতে পারে। সারাদেশেই কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। ফলে এ সময়ে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি এবং নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে।

এদিকে লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের অধিক তারতম্য বিরাজ করছে। এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোতে অস্থায়ী ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর পুনঃ তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *