স্টাফ রিপোর্টার
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট….
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতের জেলা সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী রুহুল আমিন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আর কাউকে এদেশে ফ্যাসিস্ট হতে দেয়া হবেনা। জুলাই বার্ষিকীর এই দিনে অঙ্গিকার করতে হবে যে, পেশী শক্তি, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টদের আশ্রয় দাতারা যেনো রাজনৈতিকভাবে সুবিধা ভোগ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। জুলাই শহীদ ও আহতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পুর্নবাসন করার ব্যবস্থা নিতে হবে’। সমাবেশ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আজিজুর রহমান, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল ও আব্দুল কাদের। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হক, আলতাফ হোসেন, নূর মোহাম্মদ হোসাইন টিপু, দারুস সালাম, মাসুম বিল্লাহ, মাহফুজুর রহমান, কাইমুদ্দিন হীরক, মাওলানা মহি উদ্দিন, ইসরাইল হোসেন, অধ্যাপক খলিলুর রহমান, মহি উদ্দিন প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে জেলা আমির রুহুল আমিনের নেতৃত্বে জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী গণমিছিলে অংশ নিয়ে গোটা শহর প্রদক্ষিণ করে। জামায়াতের গন মিছিলে হাজার হাজার জামায়াত কর্মীর সরব উপস্থিতি চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের মনে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের বিজয় র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় ৫ই আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফ উর জামান সিজারের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গায় বিজয় র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বর থেকে বিজয় র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে আবার একই¯’ানে শেষ হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রঙ্গণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় বক্তারা বলেন আজ থেকে ঠিক একবছর আগে ২০২৪ সালের এই দিনে ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছে। রাহুমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতা প্রিয় গণতন্ত্র প্রিয় জনগণের জন্য দিনটি আনন্দের। দিনটি বিজয়ের। রাহুমুক্ত বাংলাদেশের এই দিনটিকে অন্তবর্তীকালীন সরকার ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাঁবেদারমুক্ত বাংলাদেশের জনগণ প্রতিবছর এই দিনটিকে স্বাধীনভাবে সানন্দে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে উপভোগ করবে। স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার চর্চার নতুন অঙ্গীকারে উদ্বুদ্ধ হবে। শুধুমাত্র ২০২৪ সালের জুলাই আগষ্টের গণঅভুত্থানেই দেড় হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন। ছাত্র জনতা, কৃষক শ্রমিক, নারী শিশু বৃদ্ধ, সাংবাদিক, শ্রমজীবী, পেশাজীবী, ফ্যাসিস্টের গুলির নিশানা থেকে কাউকেই রেহাই দেয়া হয়নি। এই অভুত্থানে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ। হাত পা শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গ হারিয়ে আমাদের শত শত সন্তান, শত শত ভাই ও বোনেরা চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন কিংবা চোখ হারিয়ে আজীবনের জন্য অন্ধ হয়ে গেছেন। আর ২০২৪ সালে ছিল স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ। ৭১ সালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বাংলাদেশ ভোলেনি। ২৪ এর গণ অভ্যুথানের শহীদদেরকেও বাংলাদেশ ভুলবে না।

বিজয় র্যালি আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা যুবদলের সহ-সভাপতি- আবুল কালাম আজাদ, জেলা বিএনপি’র অন্যতম নেতা আখতারুজ্জামান আক্তার, চুয়াডাঙ্গা যুবদলের যুগ্ম সধারণ সম্পাদক হাজী রবিউল মল্লিক, বকুল হোসেন বকুল, অপূর্ব কুমার সাহা, সহ-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রেজা, আচান শেখ, মাহবুব, আবদার হোসেন রাজু, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীম হক মিলন, সহ সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক রূপম আজাদ টারজান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক- মিজানুর রহমান রানা, মৎস ও পশু পালন সম্পাদক- সোহেল রানা টুটুল, সহ স্বাস্থ্য বিষায়ক সম্পাদক ডা. আহসান হাবিব সুইট, সহ সাহিত্য ও প্রকাশনার সম্পাদক আসাদুজ্জামান টিটু, সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক গামছা কামাল, পল্লী ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আক্কাস আলী, সহ পল্লী ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান খান, সদস্য- ইদাদুল হক ইমদাদ, শিপন, বসির আহম্মেদ শিবলু, সজীব, মিজান, হামিদ উদ্দিন রিপন, বাদশা কঁঠাল, আকুল, নজরুল ইসলাম। চুয়াডাঙ্গা জেলা ওলামা দলের সভাপতি ফজলুর রহমান।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মালিক রাহাত হাসান রাজীব, সদস্য শাহ জামাল মাওলা, নাজমুল, জাহাঙ্গীর, লিটন, সানোয়ার, হামিদুল ইসলাম, শাহিন, বুলবুল,আলিম মাস্টার, আলী, ইদ্রিস, রাব্বি, হাসান, নাসির,সাত্তার, রনি, খোকন, সজীব, সাদ্দাম,পারভেজ, শিপন, বাবুর রহমত, আবু কাইয়ুম বাবু, ফারুক, সুমন, পিয়াস, আলমগীর, সেলিম, জীবন, শুকুর আলী প্রমুখ। উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন উজ্জ্বল।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস। দিনটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহেনাজ। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর রহমান।
এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল ইসলাম ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন। পরে জাতীয় নাগরিক পার্টি, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে কলেজ মোড় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হোটেল বাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন জেলা নাগরিক পার্টির মেহেরপুর যুগ্ম সমন্বয়কারী আশিক রাব্বি।
দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদায় উপজেলা বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিজয় র্যালী ও সংক্ষিপ্ত আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় দামুড়হুদা ব্রীজ মোড় থেকে জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে প্রথমে একটি হাজার হাজার লোকের উপস্থিতিতে বিজয় র্যালী বের হয়। বিজয় র্যালীটি দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড ঘুরে চৌরাস্তার মোড়ে এসে শেষ হয়। পরবর্তীতে চৌরাস্তার মোড়ের অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান বক্তা থেকে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, উপজেলা মহিলা দলনেত্রী সালমা জাহান পারুল, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, সদস্য সচিব মাহাফুজুর রহমান মিল্টন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক একরামুল হক, সদস্য সচিব জাকির হোসেন, উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক আফজালুল রহমান সবুজ, সদস্য সচিব এম ডি কে সুলতানসহ বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি, সম্পাদক সহ হাজার হাজার নেতাকর্মী ও জনতা র্যালীতে অংশ নেন।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, জুলাই মাসের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন এবং ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দর্শনায় আয়োজন করা হয় বিএনপির বিজয় র্যালি ও সমাবেশ। কর্মসূচির আয়োজন করে দর্শনা পৌর বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় দর্শনা ডাকবাংলা চত্বর থেকে প্রধান র্যালিটি শুরু হয়। র্যালির নেতৃত্ব দেন দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ড বক চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য শরিফ উদ্দিন, মমিনুল ইসলাম, শফিউল আজম তোতা, আজিজুল মন্ডল, আজিজুল হক, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর লুৎফর হোসেন, হারেস উদ্দিন ডাবলু, নাজিম আহমেদ, এবং ফেরদৌস আলম মন্টু, দর্শনা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, দর্শনা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন (রিংকু), মিতুল, সুলতান, পৌর কৃষকদলের নেতৃবৃন্দ হাতেম আলী, রমিজ, শাহরুল, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, সামাউল, সোহেব আক্তার, শাফায়েত জামান পাপ্পু এবং আসিফ হাসান।
অন্যদিকে, একই দিনে দর্শনা রেলইয়ার্ড থেকে আরেকটি বিজয় র্যালি শুরু হয় হাজি মশিউর রহমানের নেতৃত্বে, যা শেষ হয় বাসস্ট্যান্ড বক চত্বরে। এই র্যালিতে অংশ নেন পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য হাজি খন্দকার শওকত আলী, মুহিদুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন খেদু, মাহবুল হক খোকন, রেজাউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ব্রাইট, থানা যুবদলের সদস্য সচিব জালাল উদ্দীন, সদস্য সাইফুল ইসলাম শিপন, সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
এসময় বিজয় র্যালি ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারী বক্তারা আওয়ামী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

দর্শনা অফিস আরও জানায়, দর্শনা পৌর ও থানা বিএনপি এবং জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন দর্শনা শাখার নেতা কর্মিরা শহরে গণ জমায়েত, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে দর্শনা থানা বিএনপি ও তার অংগ সংগঠন স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বিজয় শোভাযাত্রা বের করে বাজারের শহিদ শাহারিয়ার মুগ্ধ মঞ্চে এসে শেষ করেন। পরে পথসভায় দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, দর্শনা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আহম্মদ আলি, যুবদলের আহবায়ক জালাল উদ্দিন লিটন, সাজেদুর রহমান মিলন, সেচ্ছাসেবক দলের মজনু মিয়া, খাইরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন,মহি ও আসলাম হোসেন। এ দিকে দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক ও দর্শনা সিএন্ডএফ বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী খন্দকার শওকত আলি, পৌর সমন্বয়ক মাহাবুবুল আলম খোকন, পৌর সমন্বয়ক হাজী মশিউর রহমান, সাবেক পৌর বিএনপি সেক্রেটারি মহিদুল ইসলাম ও জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মিঠু, দর্শনা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চল, পৌর যুব দলের সদস্য সচিব জালাল উদ্দিন, সহ পৌর যুবদল, ছাত্রদলের নেতৃত্বে দর্শনা রেলইয়ার্ড বন্দর থেকে এবং দর্শনা অডিটোরিয়ামের সমানে থেকে দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, সমন্বয়ক সাংবাদিক শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেন। একই সময়ে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন দর্শনা শাখার আয়োজনে বিজয় শোভাযাত্রা করেন। সব শেষে এ বিজয় আনতে যারা শহীদ হয়ে ছিলেন তাদের আত্নার শান্তি কামনায় শহিদ শাহারিয়ার মুক্তমঞ্চে বিশেষ দোয়ার অনুষ্ঠিত হয়।

দর্শনা অফিস আরও জানায়, দর্শনা থানা বিএনপির আয়োজনে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দর্শনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এক জাঁকজমকপূর্ণ বিজয় র্যালি ও সমাবেশ। এ কর্মসূচির আয়োজন করে দর্শনা থানা বিএনপি এবং তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাতের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ শাহরিয়ার মুক্তমঞ্চে গিয়ে সমাবেশে পরিণত হয়।
সমাবেশে বক্তব্যে খাজা আবুল হাসনাত বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন এই দেশকে নতুন আশা ও সম্ভাবনার পথে এগিয়ে নিচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জনগণ প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে বাবু ভাইয়ের পক্ষেই রায় দেবে। তিনি একজন সৎ, সাহসী ও জনবান্ধব মানুষ। একজন সফল শিল্পপতি হিসেবে তিনি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন এবং সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম যুদ্ধ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিদুল ইসলাম, যুবদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন লিটন, যুবদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোহন এবং মোর্শেদুর রহমান লিংকন।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিজয় র্যালি করেছে জীবননগর উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জীবননগর আখসেন্টার থেকে থেকে র্যালিটি বের করা হয়। র্যালিটি জীবননগর থানা মোড় ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

মিছিলে জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান খোকন, পৌর বিএনপির সভাপতি শাহজাহান কবির, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঈন উদ্দীন ময়েন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ, সদস্যসচিব সনোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব কামরুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবু তালেব, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আরসাফ হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব রাসেল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব সুমন বিশ্বাস, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, সদস্যসচিব রিপন প্রমুখ।
বিজয় র্যালিতে বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে অনেক বিএনপির নেতা-কর্মীরাও শহীদ হয়েছেন। সুতরাং এ অর্জন আমাদের সকলেরই। এই অর্জনকে ধরে রাখতে আমাদের দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশ সংস্কারের ৩১ দফা ষোষণা করেছেন। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করতে হবে।