কোটচাঁদপুরে সাপের কামুড়ে গৃহবধুর মৃত্যু

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি

ঘন বর্ষায় বেড়েছে সাপের উৎপাত, প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লাশের সারি। জনসচেনতার অভাব ও উপজেলা পর্যায় হাসপাতাল গুলোতে পর্যাপ্ত এন্ট্রিভেনাম না থাকার কারণে সাপে কাটা রোগীদের মৃত্যু ঝুকি বাড়ছে । সাপে কাটা রোগীদের মরার উপর খাড়ার ঘাঁ দিচ্ছেন ঝাড়ফুক দেয়া ভন্ড কিছু করিবাজ, তাড়াও সাপে কাটা রোগীদের মুত্যুর জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। এমনই ঘটনায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর বলুহর মাঠ পাড়ার বাসিন্দা মাহাতাবের স্ত্রী নাসিমা আক্তার (৪৫) এর করুণ মৃত্যু হয়েছে। মৃত নাসিমার মেয়ে মাহাফুজা খাতুন কালের কণ্ঠকে জানান আমার মা ও বাবা মঙ্গলবার রাত্রের খাবার খেয়ে একই খাটে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন,  রাত্র ৩ টার সময় আমার মা বুঝতে পারেন তাকে সাপে কামুড় দিয়েছে, সাথে সাথে আমার বাবা ঘরের লাইট জ্বালিয়ে দেখতে পান একটি কালো রং এর বড় সাপ চলে যাচ্ছে। তখন আমার মাকে প্রথমে ভ্যানে করে রাজাপুরের আঃ রাজ্জাক কবিরাজের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঝাড়ফুক দিয়ে পরে সকাল হলে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কোটচাঁদপুর হাসপাতালে এন্ট্রিভেনাম না থাকার কারণে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তি করে ১০টি এন্ট্রিভেনাম প্রয়োগ করা হয়। তাতে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ফরিদপুর নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে বুধবার সকাল ৯ টায় তিনি মারা যান। বুধবার বেলা ৪ টায় মৃত নাসিমা আক্তারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারে শোকের মাতম নেমে আসে। কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশরাফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন রোগীর স্বজনদের অভিযোগ সঠিক নয়, কোটচাঁদপুর হাসপাতালে এন্ট্রিভেনামের মজুদ আছে, কিন্তু রোগীর স্বজনদের সম্মতি সূচক স্বাক্ষর না করার কারণে এন্ট্রিভেনাম দেয়া সম্ভব হয়নি, তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিলো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *