মেহেরপুর প্রতিনিধি
ভীতি প্রদর্শন পূর্বক দ্বিতীয় দফায় চাঁদা আনতে গিয়ে আব্দুর রউফ নামের কথিত সাংবাদিককে গণধোলাই শেষে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। পরে সেনাবাহিনী তাকে গাংনী থানায় সোপর্দ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে। কথিত সাংবাদিক আব্দুর রউফ মেহেরপুর মল্লিক পাড়ার মৃত জমির উদ্দীনের ছেলে। সে দৈনিক রুপকার পত্রিকার প্রতিনিধি পরিচয় দেয়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবজীর মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল বুধবার তাকে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এজাহারে প্রকাশ, আব্দুর রউফ গত সোমবার বিকেলে বাঁশবাড়িয়া পল্লী চিকিৎসক আব্দুল মাবুদের কাছে আসেন ও তার ঔষুধ সেবন করে একজন রোগী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান। প্রশাসনের লোকজন অভিযান চালাতে পারে মর্মে হুশিয়ারী দেন এবং ৩০ হাজার টাকা দাবী করেন। পল্লী চিকিৎসক ভয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে আবারো ২০ হাজার টাকা চাওয়া হলে পল্লী চিকিৎসক মাবুদ কৌশলে তাকে দোকানে ডেকে আনেন ও বিষয়টি স্থানীয়দের জানান। স্থানীয় লোকজন কথিত সাংবাদিকের সাথে কথা বলেন ও সত্যতা যাচাই শেষে তাকে গণধোলাই দিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন। সেনাবাহিনীর একটি টীম আব্দুর রউফকে উদ্ধার পূর্বক গাংনী থানায় সোপর্দ করেন।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, চাঁদাবাজির ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক আব্দুল মাবুদের ভাই মোমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার রাতেই বাদি হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ সাপেক্ষে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে বুধবার সকালে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য; আব্দুর রউফ ভূয়া চিকিৎসক হিসেবে গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজারে ২০১২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী ভ্রাম্যমান আদলতে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। একই অপরাধে ২০২৪ সালের ২৫ মার্চ মেহেরপুর শহরের মল্লিক পাড়া এলাকায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।