স্টাফ রিপোর্টার
দর্শনা দুধপাতিলার বহুল আলোচিত যমুনা ইটভাটার ইট নিয়ে চোরের উপর বাটপারি করার অভিযোগ ও চাঁদাবাজির গুন্জনও রয়েছে। মালিক পক্ষ পালিয়ে গেলেও তার ভাগনে নামধারি ব্যাক্তি ভাটার চিমনিতে থাকা ইট অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কেমন ভাগনে, আসলেই কি ভাগনে এ নিয়ে রয়েছে বেশ ধোয়াশা,,স্হানীয়রা অনেকেই সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন এখানে চোরের উপর বাটপারি ঘটনা ঘটছে নাতো ? আবার অনেকে বোলছে সব খানে চাদা দিয়ে ভাগ্নে নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন নাতো ?? আবার কিছু অভিযোগ উঠেছে এমন যে, স্থানীয় কয়েকজন চাদাবাজকে ঠেকাতে ইটভাটা মালিকের ভাগ্নে, চুয়াডাঙ্গা থেকে ভাড়া করে আনা একটি দলের নেতাকর্মীরা নিজেরাই বাগিয়ে নিয়ে গেলেন মোটা অংকের টাকা।
সরেজমিন ঘটনাস্হল ও দুধপাতিলা গ্রামবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে যমুনা ইটভাটার প্রথম মালিক স্হানীয় দামুড়হুদা উপজেলার দুধপাতিলা গ্রামের আঃ রহমান। তিনি ভাটা চালাতে গিয়ে বহু দেনাদায়ে পড়ে গেলে মোস্তাফিজুর রহমান নামে জনৈক ব্যাক্তির কাছে যমুনা ইটভাটা বিক্রি করে দেন। মোস্তাফিজুর রহমান ভাটা চালাতে এলাকার বেশ কিছু লোকজনের কাছ থেকে ইটের এ্যাডভ্যন্স বাবদ নগদ টাকা গ্রহন করে বড় দেনায় জড়িয়ে পড়ে। পরে ব্যাবসায় চমক সৃস্টি করতে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলি আজগার টগর মিয়ার দুর সম্পর্কের এক আত্নীয় সাথে পার্টনার হিসেবে যোগদান করার পরে ৫ আগস্টে ছাত্র জনতার তোপের মুখে ভাটা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এলাকায় যারাই ইটের অগ্রীম টাকা দিয়েছিল,তারাই মারাত্বক বিপদে পড়ে যায়। ভাটার মালিক ইট বা নগদ টাকা ফেরত দেয়ার ভয়ে পালিয়ে আত্নগোপনে যায়। হঠাৎ করেই মোস্তাফিজুর রহমানের এক ভাগনে নামে ব্যাক্তি চুয়াডাঙ্গার কলোনিপাড়া নিবাসি আঃ রাজ্জাক গোপনে বা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় যমুনা ভাটার চিমনি থেকে ইট খুলে খুলে বিক্রি করতে থাকে। বিষয়টি প্রচার হয়ে পড়লে ইট বাবদ টাকা এ্যাডভ্যন্সকারিরা যমুনা ভাটা চত্বরে এসে হাজির হয়। এ নিয়ে বেশ ঝামেলার সৃস্টি হয়।
স্হানীয়দের ঝামেলা ও ইট এ্যাডভ্যন্সকারিদের প্রতিরোধ করতে আঃ রাজ্জাক কিছু লোকজন এনে তা প্রতিরোধ করার চেস্টা করলে হিতে বিপরীত হয়। সেই লোকজন (চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা) এখন আঃ রাজ্জাকের বিরুদ্ধে গিয়ে মোটা অংকের টাকা বাগিয়ে নেয় ও আরো অতিরিক্ত টাকা দাবি করে বসে। এ বিষয়ে যমুনা ভাটার মালিক মোস্তাফিজুর রহমানের ভাগনে নামধারি ব্যাক্তি আঃ রাজ্জাক সাংবাদিকদের জানান আমার মামার কাছ থেকে যমুনা ভাটার চিমনির ইট বিক্রি করতে দায়িত্ব নিয়েছি,কিন্ত এখন দেখছি ইট বাবদ নগদ টাকা নেয়া ব্যাক্তিরা স্ট্যাম্প নিয়ে হাজির, এলাকাবাসিরা হাজির এবং কতিপয় নেতা নামধারি লোকজন এসে কাজে বাধা দিচ্ছে বা টাকা চাইছে। আমার জানা মতে বা আমি আমার মামার সাথে কথা বলে জেনেছি তিনি এতটা ঋণগ্রস্ত নয় দুই একজন তার কাছে টাকা পাবে।
এলাকাবাসিরা জানালেন এখানে মনে হয় চোরের উপর বাটপারির মত ঘটনা ঘটছে বলে মনে হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসা দরকার বলে সচেতন মহল মনে করছেন,তা না হলে বড় দুর্ঘনা ঘটে যেতে পারে।