জীবননগর অফিস
জীবননগরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় শিহাব (১৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার ভোরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে, গত তিন দিন আগে জীবননগর পৌর এলাকায় এই ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেয়ের মা বাদি হয়ে জীবননগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এরপর পুলিশ সোমবার ভোরে শিহাবকে আটক করে।
পরবর্তীতে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ মিললে ৭এর ৯/৪ খ ৩০ ধারায় জীবননগর থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়। আটক শিহাব (১৮) জীবননগর পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ডের নতুন তেতুলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
অভিযোগে ছাত্রীর মা জানান, আমি একজন গৃহিনী। আমার ৭ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান আছে। সে মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। গত বুধবার (৯ জুলাই) বেলা অনুমান ১২টার দিকে আমার মেয়ে াদ্রাসায় লেখাপড়া শেষে বাড়ীতে ফেরার পথে শিহাব তাকে একা পেয়ে বার্গার এবং চিকেন খাওয়ানোর লোভ দেখায়। তারপর শিহাব ও তার সাথে থাকা অগত নামা আরো ২জন ব্যক্তির মোটর সাইকেলে অপহরন করে নিয়ে “দি রয়েল ক্যাফেতে” যায় এবং সেখানে আমার মেয়েকে বার্গার এবং চিকেন খাওয়ানো শেষ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মোটর সাইকেলে করে বাঁকা রোডে নিয়ে যায়। অজ্ঞাতনামা ২ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল সহ বাঁকা পাঁকা রাস্তার উপর অবস্থান করে। এরপর আসামী শিহাব আমার মেয়েকে কোলে করে নিয়ে গ্রামের ফাঁকা মাঠের মধ্যে খোকন মাস্টারের পরিত্যক্ত আধাপাকা টিনের ঘরের মধ্যে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে।
তখন আমার মেয়ে উচ্চস্বরে কান্নাকাটি শুরু করলে শিহাব আমার মেয়ের মুখ চেপে ধরে। পরবর্তীতে শিহাবসহ অজ্ঞাতনামা ২ জন মোটর সাইকেলে করে আমার মেয়েকে নতুন তেতুলিয়া মসজিদের পার্শ্বে রেখে যায়।
আর এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, ছাত্রীর মা গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটা দিকে জীবননগর থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপর আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে আসামি শিহাবকে ওই রাতেই আটক করি। এরপর তাকে জিজ্ঞাসা করলে আমরা বিষয়টি সত্যতা পাই। পরবর্তীতে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে জীবননগর থানায় ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করে এছাড়াও আসামী শিহাবকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।