চুয়াডাঙ্গার মা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

চুয়াডাঙ্গার মা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। এক প্রসূতি রোগীর পরিবার ক্লিনিক মালিক ও ডাক্তারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলেছেন সাংবাদিকদের কাছে। গুরুতর অসুস্থ সুমাইয়া আলমডাঙ্গা উপজেলার মধুপুর আইলহাস গ্রামের বাসিন্দা। সুমাইয়া গত ৮ জুন মা ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন। অস্ত্রোপচারের পর তাকে রিলিজ দেওয়া হয়। তবে এক সপ্তাহ পর হঠাৎ করে সুমাইয়ার শরীরে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে পুনরায় ক্লিনিকে নেওয়া হয়।

পরবর্তীতে রক্ত দেওয়া হলেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা জরায়ুর নাড়ী কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। গত ১৯ জুন রাতে মা ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. এহসানুল হক তন্ময় অস্ত্রোপচার করেন। কিন্তু এরপর থেকে রোগীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে থাকে। সোমবার (২৪ জুন) থেকে তার অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকে।  পরে চিকিৎসক জানান, সুমাইয়া কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।

রোগীর স্বামী শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে আমার স্ত্রী এখন মৃত্যুর মুখে। আমরা আগেই রিলিজ চাইলে তারা বলেন, রোগী সুস্থ হয়ে যাবে, কিন্তু বাস্তবে তার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।”

রোগীর শাশুড়ি শরিফা খাতুন বলেন, “আমার ছেলের বউ আজ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আমি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের শাস্তি চাই। এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হোক।”

এ বিষয়ে মা ক্লিনিকের ম্যানেজার জামিল বলেন, “রোগীর চিকিৎসা যথাযথভাবেই করা হয়েছে। কোনো গাফিলতি ছিল না। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।” মা ক্লিনিকের মালিক শাহিদুর রহমান জানান, “এখানে কোনো অপচিকিৎসা হয়নি। রোগীর স্বজনদের কথামতো চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন হলে আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত।” গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে রোগী সুমাইয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে নেয়া হয়েছে।  এ ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *