স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়ায় অবৈধভাবে চালানো হচ্ছে ‘ছমির মেডিকেল হল’ নামে একটি ফিজিও থেরাপি সেন্টার। নেই প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন। তবুও ফিজিও থেরাপিস্টের সহকারী সেজে রোগী দেখে চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের মালিক তমাল হোসেনের
জানা গেছে, সদর উপজেলার আলুকদিয়ায় বসানো হয়েছে ‘ছমির মেডিকেল হল’। প্রতিষ্ঠানটির মালিক তমাল হোসেন নিজেই ফিজিও থেরাপি দেন এবং অন্য একজন চিকিৎসকের প্যাডে নিজে প্রেসক্রিপশন লেখেন। অথচ তার নেই কোনো চিকিৎসা-সংশ্লিষ্ট ডিগ্রি বা সরকারি অনুমোদন। একজন ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী ফিজিও থেরাপিস্টের সহকারী হিসেবে কাজ করার প্রয়োজনীয় ডিপ্লোমা ডিগ্রিও নেই তার। স্বাস্থ্য আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাক্ট অনুযায়ী, ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে বা তার সহকারী হিসেবেও কাজ করতে হলে স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি থাকতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
এ বিষয়ে ‘ছমির মেডিকেল হল’ এর মালিক তমাল হোসেন বলেন, ‘ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী একজন মহিলা চিকিৎসক আমার মেডিকেল হলে চিকিৎসা দেন। আমি তাকে অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে সহযোগিতা করি।’ তবে তার নিজস্ব চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘এর আগে একটা সমস্যা হয়েছিল, এখন সিভিল সার্জন অফিস যেভাবে বলেছে, সেভাবেই কাজ করছি।’ তার প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফিজিও থেরাপির জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো সিস্টেম নেই। তবুও কিছু নিয়ম থাকে তা মানা হচ্ছে।
এদিকে, সপ্তাহে দুই দিন ‘ছমির মেডিকেল হল’-এ চিকিৎসা দেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ফিজিও থেরাপিস্ট পরিচয়ধারী ডা. শারমীন সুলতানা। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ‘অনুমোদন ছাড়া কোনো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান চালানো দণ্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া, ডিগ্রি ছাড়া কেউ চিকিৎসা করতে বা প্রেসক্রিপশন দিতে পারে না। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আলুকদিয়ায় ছমির মেডিকেল হলে ফিজিও থেরাপির নামে অপচিকিৎসার অভিযোগ
