স্টাফ রিপোর্টার
যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে এবং ব্যাপক আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশে মুসলিম উম্মাহর বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সব ভেদাভেদ ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আদায় করা হয় ঈদের নামাজ। এসময় বিশ্ব কল্যান ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে করা হয় দোয়া। পরে মুসল্লিরা পরস্পর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নামাজ ও শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে আল্লাহ’র সন্তুষ্টি কামনায় পশু কোরবানি দেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
ঈদের মূল অনুষঙ্গ পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গার গলি-মহল্লা, বাসার আঙিনা এবং খোলা স্থানগুলোয় দেখা গেছে ব্যস্ততা। গরু-ছাগল ইত্যাদি জবাইয়ের পর কসাইয়ের সহায়তায় দ্রুততার সঙ্গে শেষ করেছেন মাংস বিলি বন্ঠন প্রক্রিয়াজাতকরণ। বহু পরিবার ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী মাংস তিন ভাগ করে আত্মীয়-স্বজন, দরিদ্র ও নিজের জন্য বণ্টন করছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোরবানির মাংস পৌঁছে দিচ্ছে, যাতে ঈদের আনন্দে কেউ বঞ্চিত না থাকে।
চলতি বছর কোরবানির পশু জবাই ও পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চুয়াডাঙ্গায় ছিলো আগাম প্রস্তুতি। ঈদুল আজহায় চুয়াডাঙ্গা শহর ও আশপাশ এলাকার মুসল্লিদের সুবিধা বিবেচনা করে ঈদের নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। পবিত্র ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভা সমাবেশে। এবার চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৩৩টি ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা, জীবননগর ও দর্শনায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে এবার অনেকস্থানে ঈদগাঁও মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। সেই কারনে বেশিরভাগ জায়গায় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের নামাজ। চুয়াডাঙ্গায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায় কোর্ট মসজিদে। নামাজে অংশ নেয় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিংগাপুর প্রবাসী হাজী সাহেদুজ্জামান টরিক, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, পাবলিক প্রসিকিউটর মারুফ সরোয়ার বাবু, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রফিক রহমানসহ এলাকার মুসল্লিবৃন্দ। নামাজ শেষে দেশ জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মওলানা মুফতি রুহুল আমিন। এদিকে পুলিশ লাইনস মসজিদে সকাল ৭ টা ৩০ মিনিট ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় মুসল্লিরা অংশ নেয়। এছাড়াও শহরের ইর্মাজেন্সি রোড মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন বিএনপি নেতা লেঃ অবঃ কামরুজ্জামান। এদিকে জেলার বিভিন্নস্থানে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ ও কোরবাণী সম্পন্ন হয়েছে।