আলমডাঙ্গা অফিস
ঈদুল আযহার চতুর্থ দিনে আলমডাঙ্গার দর্শনীয় স্থান সাতকপাট ও মুক্তিযুদ্ধ বিজড়িত বধ্যভূমি এলাকায় উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রকৃতি ও ইতিহাস ছুঁয়ে দেখতে ছুটে এসেছেন স্থানীয়সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ঈদ উপলক্ষে এলাকাটিতে বসেছে অস্থায়ী দোকানপাট। বিভিন্ন স্টলে শিশুদের খেলনা, মুখরোচক খাবার, ঠাণ্ডা পানীয়সহ নানান সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। শিশুদের জন্য রয়েছে খেলাধুলার ব্যবস্থা, যা ছোটদের পাশাপাশি বড়দের মধ্যেও উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করেছে
স্থানীয়রা জানান, প্রতি ঈদেই এই এলাকায় পর্যটকের ভিড় বাড়ে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর ইতিহাসের মিশেলে সাতকপাট ও বধ্যভূমি এখন বিনোদনপ্রেমী মানুষদের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
হাটবোয়ালিয়া থেকে ঘুরতে আসা সোহেল রানা বলেন, “আমরা প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে সাতকপাট আসি। এখানে এসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করি, পরিবারের সবাই আনন্দে সময় কাটাতে পারে।”
মল্লিকপুর থেকে আসা শাফায়েত হোসেন জানান, “সাতকপাটের পরিবেশ ও শান্তি আমাদের মন ছুঁয়ে গেছে। এখানে আসার ফলে পরিবারের সবাই খুব আনন্দ পেয়েছে।” তার সঙ্গে আসা শিল্পী খাতুন বলেন, “ঈদে এমন সুন্দর একটা জায়গায় এসে আমরা সত্যিই স্বস্তি ও আনন্দ অনুভব করছি। বিশেষ করে বধ্যভূমি পরিদর্শনের মাধ্যমে আমাদের সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধের নির্মম ইতিহাস জানাতে পেরেছি। এটি আমাদের জাতিগত চেতনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।”
আলমডাঙ্গা থেকে আসা স্থানীয় ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা বলেন, “ঈদের সময় পর্যটকের ভিড় বাড়লে ব্যবসাও ভালো হয়। এতে আমাদের আয় বাড়ে, আবার স্থানীয় অর্থনীতিও চাঙা হয়।” সাতকপাটের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বধ্যভূমির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ঈদ উদযাপনের মাঝে বিনোদন ও শিক্ষার এক অসাধারণ সংমিশ্রণ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
আলমডাঙ্গার সাতকপাট ও বধ্যভূমিতে ঈদের চতুর্থ দিনে উপচে পড়া ভিড়
