নবগঙ্গা খাল পরিপূর্ণ সংস্কার না করায় জাফরপুর এলাকাবাসীর ক্ষোভ, জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার
নবগঙ্গা খাল পরিপূর্ণ সংস্কার না করায় এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ৩ বছর পূর্বে পৌর এলাকার তালতলা পশুহাট থেকে কুলচারা-সাতগাাড়ী-জাফরপুর হয়ে সরোজগঞ্জ এলাকায় খাল খনন কার্যক্রম শুরু করা হয়। সেইসময় আইনী জটিলতার কারনে বেশ কিছু স্থানে খালটি না কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে স্থানীয় এলাকাবাসী ও কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেকের চাষযোগ্য জমি কেটে খাল খনন করা হয়েছে। আবার অনেকে মামলা করায় তাদের জমিতে খাল খনন করা হয়নি। এভাবে কয়েক বছর খালটি পড়ে রয়েছে। আবার অনেকস্থানে খালের জায়গা দখল হয়ে গেছে। এদিকে এসব সমস্যা নিরসনে জাফরপুর গ্রামবাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবর বিষয়টির তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এর অনুলিপি নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার , চেয়ারম্যান মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদকে দেয়া হয়েছে।
জাফরপুর গ্রামবাসীর পক্ষে আজিজুর রহমান বকুল ও মমিনুল ইসলাম লিখিত আবেদন করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, আমরা জাফরপুর গ্রামের অধিবাসী অত্যান্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি আমাদের গ্রামের ভিতর দিয়ে যে নদী কাটা হয়েছে, এই জায়গায় আমাদের ১৯২৭ সালের রেকর্ড রয়েছে। নদীর কোন ম্যাপ নেই। তারপরেও আমাদের ধানি জমি কেটে নদী খনন করা হয়েছে। যখন নদী খনন করা হয়, তৎকালীন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছিলেন, যুব উন্নয়ন বিভাগের স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে ১০ ফুট চওড়া করে নদী কেটে দেয়া হবে। নুরনগর, সাতগাড়ী, কুলচারা হয়ে ঘোড়ামারা ব্রিজের নিচ দিয়ে খনন করে মাথাভাঙ্গা নদীর সাথে নবগঙ্গার সংযোগ করে দেয়া হবে। কিন্তু তা না করে নদীর জায়গায় নুরনগরে আবারও রেজিস্ট্রি অফিস নির্মাণ করা হলো। যাহা আমাদের জন্য খুবই কষ্টের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। তাই আপনি যদি এলাকার নবগঙ্গা নদী ভরাটের অনুমতি দিবেন বলে আশা করছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *