দর্শনায় শিক্ষিকার বাড়িতে দিনের বেলায় দুর্ধর্ষ চুরি নারীসহ ৫ জন গ্রেফতার, স্বর্ণালংকার উদ্ধার!

দর্শনা অফিস

দর্শনায় এক শিক্ষিকার বাড়িতে দিনের বেলায় সংঘটিত দুর্ধর্ষ চুরির রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। একের পর এক অভিযান চালিয়ে নারীসহ পাঁচজন চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হয়ে যাওয়া দুইটি স্বর্ণের আংটি, যার ওজন প্রায় চার আনা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর সোমবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের মধ্যে দর্শনা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের আমতলা মহল্লায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। ওই সময় অজ্ঞাতনামা চোরেরা দর্শনা কেরুজ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা মঞ্জু রানী ঘোষ (৬০)এর বাসার দ্বিতীয় তলার দরজা ও গেটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা আলমারি ভেঙে আনুমানিক ১৮ ভরি ১৫ আনা স্বর্ণালংকার ও ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা নগদ অর্থ লুট করে পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শহীদ তিতুমীর এর তত্ত্বাবধানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

পুলিশের অভিযান অনুযায়ী, প্রথমে দর্শনা মোহাম্মদপুর মহল্লার আব্দুল বারেকের ছেলে ইসলাম (৪৩)কে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার গোলাপনগর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কুষ্টিয়ার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের স্বর্ণকার অর্ণব কুমার সোহাগ (২৩) ও বৃত্তিপাড়া গ্রামের তপন বিশ্বাস (৩৭) কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বিক্রিত স্বর্ণের দুইটি আংটি উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া, মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দর্শনার আমতলা সুইপার পট্টির বাসিন্দা চায়না খাতুন (২৫) কে গত ২২ অক্টোবর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ১৬ অক্টোবর মামলার অন্যতম আসামি আজিমপুর মহল্লার  হারুনের ছেলে   অন্তর হোসেন ওরফে মারুফ খান (২৮)কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা মঞ্জু রানী ঘোষ বলেন, সেদিন সকালে স্কুলে ক্লাস নিতে গিয়েছিলাম। দুপুরে ফিরে দেখি দরজা ভাঙা, ঘরের সবকিছু এলোমেলো। নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ সবকিছু নিয়ে গেছে। প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, চুরির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। চুরি হওয়া কিছু স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *