স্টাফ রিপোর্টার
মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে দিবসটি উপলক্ষে র্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্ব পূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে র্যালিটি শেষ হয়। এরপর দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম। এসময় সভাটি আয়োজন করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটি) চুয়াডাঙ্গা সার্কেল। সভার শুরুতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের পাশে থেকে সরকার কাজ করছে। একই সাথে সড়কে চলাচলে নিয়ম শৃঙ্খলা বিষয়ে ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআরটি চুয়াডাঙ্গা সার্কেলের সহকারী পরিচালক লিটন বিশ্বাস। এরপর সড়কের গতিপথ ও ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা এবং সড়ক দুর্ঘটনা কমে নিয়ে আসার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা সভা করা হয়।

বিআরটি সদর সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক নজরুল ইসলামের সঞ্চয়ালনায় সভার প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, একটা দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না। তাই শহরের চলাচলে গতিসীমা মেনে চলতে হবে। বেপরোয়া ও অতিরিক্ত গতিতে মোটরযান না চালানোর আহ্বান। মোটরসাইকেল চালকদের অব্যশয় হেলমেট পরিধান করে গাড়ি চালাতে হবে। সবাইকে সচেতন হয়ে সড়কে গাড়ি চালাতে হবে। সড়জক দুর্ঘটনার আহত ও নিহতদের পাশে থেকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করছে সরকার। আর যুবকদের উদ্দেশ্য বলি রাস্তায় ভালো ভাবে গাড়ি চালাতে হবে। কোন রকম সড়কের আইন অবমাননা করা যাবে না। তাই সড়কের নিয়ম কানুন ঠিক রেখে গাড়ি চালনার পরামর্শ সবার। কিছু হয়ে সারা জীবনের কান্না হয়ে যাবে। বিশেষ করে অভিভাবক তাদের সন্তাদের হাতে বাইক দেওয়া আগে সর্তক থাকতে হবে। তাই সবাই সচেতন হয় এবং চালকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এস. এম. ইস্রাফিল হোসেন ও প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাজিদ হাসান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈনউদ্দীন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-প্রকৌশলী কাজী রফিকুল হক, জেলা মাইক্রোবাস বাস ও মিনিবাস সমিতির সভাপতি এম. জেনারেল, জুলাই যোদ্ধা আসলাম হোসেন অর্ক, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ টনিক, জেলা সড়ক বিভাগের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী (সওজ) মোহাম্মদ সুজাত কাজী, সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম সনি প্রমুখ। সভার শেষ পর্বে চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত ১১ জনের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেয়া হয়।