স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহে বিষাক্ত মদ পানে মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের কাছ থেকে ১১৭ বোতল এ্যালকোহল/ স্পিরিট উদ্ধার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের একটি টিম তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ঝিনাইদহ সদর থানার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের পুটি মন্ডলের ছেলে ফারুক আহমেদ ওরফে এ্যালকো ফারুক (৪০) ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানার খেজুরা গ্রামের বাকি শেখের ছেলে জুমাত আলী (৪৬)।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক পেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ১০ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ডিঙ্গেদহ বাজারের জমির হোসেনের আড়তের উত্তর পাশের পিছনে বসে ৯/১০ জন বিষাক্ত মদ পান করে। এরপর তারা প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরবর্তিতে বিভিন্ন সময়ে মারা যান শংকরচন্দ্র গ্রামের লাল্টু মিয়া (৪৮), শহীদ(৪৫), খেজুরা গ্রামের সেলিম (৩৮), পিরোজখালী গ্রামের লাল্টু (৪২), নফরকান্দি গ্রামের খেদের আলী (৫৫) ও মানিকদিহি গ্রামের ছমির হোসেন (৫৫)। এ ঘটনায় নিহত লাল্টু’র ভাই বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪ তারিখ-১৩/১০/২০২৫।
মামলার ঘটনার মূলরহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ মাঠে নামে। ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৫ অক্টোবর তারিখ আসামী মোঃ জুমাত আলী(৪৬), ও গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার অন্যতম আসামী মোঃ ফারুক আহমেদ@ এ্যালকো ফারুক (৪০) করা হয়। পরে গ্রেফতারকালে আসামীর হেফাজত হতে ১১৭ বোতল মেয়াদ উত্তীর্ণ এ্যালকোহল/স্পিরিট উদ্ধার হয়। অবৈধভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ এ্যালকোহল/স্পিরিট নিজ দখলে রাখায় গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ফারুক আহমেদ @ এ্যালকো ফারুক স্বীকার করে যে, সে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে (লাইসেন্স বিহীন)হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার নামে মেয়াদোত্তীর্ণ এ্যালকোহল/স্পিরিট বিক্রয় করে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছে। সে চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন এলাকায় হোমিও দোকান ও মাদকসেবীদের নিকট এ জাতীয় বিষাক্ত পদার্থ সরবরাহ করে আসছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আসামী ফারুক আহমেদ @ এ্যালকো ফারুক এর সরবরাহকৃত মেয়াদোত্তীর্ণ এ্যালকোহল/স্পিরিট পান করার ফলে উক্ত ভিকটিমরা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।