স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের সিএন্ডবি পাড়ায় রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ইজিবাইক চালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহত রফিকুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার সিএন্ডবি পাড়ার ওহাব আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার সার্কিট হাউস সংলগ্ন ছোট ভাইয়ের বাঁশ ও স্যানিটারি সামগ্রীর দোকানের ভেতর থেকে রফিকুল ইসলামের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুপুরে রফিকুলের স্ত্রী স্বামীর খোঁজ নিতে দোকানে যান। তিনি স্থানীয় এক কিশোরকে দোকানে দেখতে পাঠালে, কিশোরটি দরজার ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রফিকুলকে দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠে। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন বলেন, “যতদূর জানি, রফিকুল প্রায় এক লাখ টাকার মতো ঋণ করেছিলেন। ওই টাকা পরিশোধ না করায় গত পরশুদিন তার স্ত্রী তাকে বকাঝকা করেছিলেন। এছাড়া, সে মাদকাসক্তও ছিল। আমার ধারণা, মাদকাসক্তিই তার আত্মহত্যার মূল কারণ।” অন্যদিকে, নিহতের ছেলে সাহেব জানান, “আমাদের বাড়িতে তেমন কোনো বড় সমস্যা ছিল না। ছোটখাটো পারিবারিক বিষয় হয়, কিন্তু সেগুলো আত্মহত্যার মতো কিছু না। বাবা তিন দিন ধরে বাড়িতে যাননি। গত পরশু আমরা এসে দেখি বাবা ঘুমিয়ে আছে, কালকে আর আসা হয়নি। আজ মা এসে একজনকে দিয়ে দেখতে পাঠায়, তখন জানা যায় বাবা গলায় ফাঁস দিয়েছে। আমাদের কিছু ঋণ থাকলেও তা আমি আর আমার ভাই বদাশা চালাই। সেই ঋণের টাকা বাবার ওপর কোনো চাপ ছিল না।”
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”