স্টাফ রিপোর্টার
‘টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে টিকা নেব দল বেঁধে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলার সংবাদ কর্মীদের টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক পরামর্শমুলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের হলরুমে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকার গুরুত্ব, সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর বিস্তারিত আলোচনা হয়। শিশু কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফের আর্থিক সহায়তায় কর্মশালাটি আয়োজন করেন জেলা তথ্য অফিস। কর্মশালাটির শুরুতেই টাইফয়েড টিকাদানের রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়।
এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা তথ্য অফিসার শিল্পী মন্ডল। কর্মশালায় টাইফয়েড টিকা বিষয়ক উপস্থাপনা ও টিকা সম্পর্কিত গুজব বিষয়ে বিস্তর আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ আওলিয়ার রহমান। তিনি জানান, জেলার ৪ উপজেলায় ২ লাখ ৭৭ হাজার জনকে টিকা দেয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। ইতিমধ্যে ৪২ ভাগ নিবন্ধন করা হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে মাসব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম চলবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুকে ১ ডোজ টিসিভি টিকা দেয়া হবে। এই ভ্যাকসিনের কোন সাইড ইফেক্ট নেই। আপনাদের সন্তানকে নির্ভয়ে টাইফয়েডের টিকা দিতে পারেন। সরকারের মহত এ কার্যক্রমকে সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার বলেন, সারা দেশের ন্যায় আগামী ১২ অক্টোবর থেকে মাসব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম চলবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুকে ১ ডোজ টিসিভি টিকা দেয়া হবে। টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি অত্যন্ত জরুরি। তরুণ ভলান্টিয়ারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এ কর্মসূচিকে সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারীর উন্নয়নে সচেতনতা সৃষ্টি না হলে এ ধরনের স্বাস্থ্য উদ্যোগ পূর্ণাঙ্গ সাফল্য পাবে না। সমাজের বিভিন্ন স্তরে স্বাস্থ্য সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে। মানুষের এই টাইফয়েড থেকে রক্ষা পেতে হলে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। সবাইকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার আহ্বান করছি। একইসঙ্গে জনস্বাস্থ্য কার্যক্রমকে আরো জোরদার করতে হবে। এই টিকা শিশু পেলে টাইফয়েডের ঝুঁকি কমে আসবে। টাইফয়েড টিকা অত্যন্ত নিরাপদ। আর এই টিকা নিতে হলে অবশ্যয় সবাইকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে। এই রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে সবাই পাবে একটা করে টাইফেডের টিকা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্বিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. খন্দকার ইমরান হাসিব, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক দীপক কুমার সাহা, জেলা শিক্ষা অফিসার জেসমিন আরা খাতুন।
অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাজিদ হাসান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি, সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, শাহ আলম সনি, রফিক রহমান, রিফাত রহমান, হুসাইন মালিক, মফিজ উদ্দিন জোয়ার্দ্দার, পলাশ উদ্দিন, সানভি, শামসুজ্জোহা রানা, শরীফ উদ্দিন, আতিয়ার রহমান, মানিক আকবর, কামরুজ্জামান সেলিম, জামান আখতার প্রমুখ। ভার্চুয়ালী অনুষ্ঠান সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন গনযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক ডালিয়া ইয়াসমিন।