গাংনী হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা

মেহেরপুর অফিস

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিপুল সংখ্যক মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসক। ১৭ টি পদের বিপরিতে ৫ জন ডাক্তার চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ব্যক্তিগত আক্রোশে কিছু মানুষ ডাক্তারদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে নানান তুলে বিতর্কিত করতে চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এসব ডাক্তারদের অবস্থা এমন যে, পান থেকে চুন খসলেই লঙ্কাকাণ্ড ঘটে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোলা বিভিন্ন পেজে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মিথ্যা ভিত্তিহীন এবং সাজানো অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মরত চিকিৎসকরা এলাকা ছাড়তে চাচ্ছেন।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে যে ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে তিনি ডা. ফারুক হোসেন। গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামে বাড়ি হওয়ার সুবাদে এলাকার মানুষের  চিকিৎসা সেবা দেওয়ার লক্ষ্য অদ্যবধি গাংনী হাসপাতালেই কর্মরত আছেন। ডিউটির পুরো সময়জুড়ে অসংখ্য রোগীর সেবা দিয়ে তিনি ইতিমধ্যে জনবান্ধব ডাক্তার হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। প্রতিটি রোগীকে অনেক সময় দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। ডাক্তার সংকট থাকায় একাধারে ২৪ ঘন্টা, কোন কোন সময় তারও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে পড়ে থাকেন এসকল ডাক্তার।

অভিযোগ রয়েছে, কতিপয় ব্যক্তি ডা. ফারুক হোসেনকে পছন্দ করেন না। এতে নানা প্রকার মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার সময় তিনি যদি কোন টেস্ট দিয়ে থাকেন তাহলে তো আর রক্ষা নেই। নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে টেস্ট করাতে বাধ্য করানো হচ্ছে এমন ভূয়া অভিযোগ তুলে তার সম্মানহানীও করা হচ্ছে মাঝেমধ্যে। যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সচেতন মহলসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ডাক্তার সংকটের কারনে যেখানে গুটি কয়েক ডাক্তার দিন রাত বিরতিহীনভাবে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন; সেখানে তাদের পাশে সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে উল্টে অপপ্রচার চালিয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। যা হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার উপর আরও বিরুপ প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন কর্তৃপক্ষ। জনগরুত্বপূর্ণ হাসপাতালটির সার্বিক অনুকুল পরিবেশ বজায় রাখতে এ ধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ-আল-আজিজ বলেন, কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে আমাদের কাছে অভিযোগ দিবে এটাই নিয়ম। আমরা তার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যারা এগুলো করছে তারা অভিযোগ না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা ছড়াচ্ছে তা খুবই দুঃখজনক। এর আগেও এরকম মিথ্য অভিযোগ করে। তদন্ত করার সময় অভিযোগকারীদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *