স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে মিলন হোসেন (৩০) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার পরিবারের সদস্যরা বলছে, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। মিলন হোসেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামের হাসপাতালপাড়ার বাসিন্দা বিল্লাল মালিতার ছেলে। গত ২৮ আগস্ট সকালে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর আবুল হাশেমের ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ছিলেন তিনি। হামলায় হাশেমের দাঁত ভেঙে যায়, মাথা ও মুখে গুরুতর আঘাত পান। সেই মামলায় আত্মসমর্পণ করলে আদালত গত ৪ সেপ্টেম্বর তাকে কারাগারে পাঠায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল সোমবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মিলন। রাত ৩টা ৪০ মিনিটে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার পৌনে ৫ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফখর উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, হার্ট অ্যাটাকেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
মিলন হোসেনের চাচাতো ভাই রিকাত মালিতার দাবি, গত ৪ সেপ্টেম্বর মিলন সুস্থ অবস্থায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। রিমান্ডে দেননি বিজ্ঞ আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরিবারের প্রশ্ন একজন সুস্থ মানুষ হঠাৎ মারা যায় কিভাবে? তারা বলছেন, এ মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন- চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই মৃত্যু হয়েছে মিলনের। ময়নাতদন্ত ছাড়া সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়।