স্টাফ রিপোর্টার
দিন দিন বেড়েই চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য। বাজারে ভেজাল ও মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্যের হার কমাতে প্রতিদিনই পরিচালিত হচ্ছে অভিযান। কিন্তু কতটুকু সুফল পাচ্ছে জনগণ? তারই ধারাবাহিকতায় জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
উক্ত সভায় উপস্থিত সকলের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য মুক্ত আলোচনা করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পণ্যের মূল্য তালিকা দেওয়া, বাজার মনিটরিং জোরদার করা, চালের বস্তায় জাতের নাম, মূল্য ও উৎপাদন তারিখ লিপিবদ্ধ করা, মাছ ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পাকা ভাউচার ব্যবহার করা সহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান বলেন, জেলা ব্যাপী প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। খাদ্যদ্রব্য, ঔষধ, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে নিয়মিত তদারকীমুলক অভিযান চলছে। শহরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে মেয়াদউত্তীর্ণ রিয়েজেন্ট ব্যবহারের জন্য অর্থদণ্ড করা হলেও পরবর্তীতে তারা একই ভুল করছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে এক্স-রে নির্ধারিত অনুমোদিত কক্ষ ব্যতীত অন্য কক্ষে প্রতিস্থাপন করছে। ৫/৬ মাস পূর্বের ব্লাড সংরক্ষণ করে রাখছে তারা। যা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী। এ সকল অপরাধ মূলক কাজের জন্য জরিমানা আরোপ করেও তাদের অপরাধ প্রবণতা কমানো যাচ্ছে না। জনসচেতনতাই পারে এ সকল অপরাধকে কমিয়ে দিতে। জনগণের স্বার্থে ভোক্তা অধিকারের অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হবে।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজীব পাল বলেন, জেলা পর্যায়ে খাদ্যের গুণাগুণ ও মান নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে খাদ্য অধিদপ্তর। আগামী ২২-২৪ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে ভ্রাম্যমান ল্যাব চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় খাবারসহ অন্য পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করবে। এতে করে খাদ্যেদ্রব্যের গুনাগুন ও মাননিয়ন্ত্রণ সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে ভোক্তাদের অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে পারব। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো খাদ্যে ভেজালরোধ। এই ভেজাল খাদ্য নির্মূল করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে। অধিক মুনাফা লাভের আশায় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করলে তা কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় সংগঠন, বাজার কমিটি ও গণমাধ্যম কর্মীদের তৎপর হওয়ার জন্য বিশেষভাবে গুরুতারোপ করেন তিনি।
এ সময় আরোও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহম্মেদ মাহাবুব উল ইসলাম, সহকারী কমিশনার সামিউল আজম, সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল আজাদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, চেম্বার সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক, দোকান মালিক সমিতির আহবায়ক মনজুরুল আলম মালিক লার্জ, জেলা দোকান মালিক সমিতির সদস্য সচিব সুমন পারভেজ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম, পৌর সেনেটারী ইন্সপেক্টর নার্গিস জাহান, ব্যবসায়ী নেতা বাবু জোয়ার্দ্দার, সৌরভ খন্দকার প্রমুখ।