চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার

‘মাতৃদুগ্ধকে অগ্রাধিকার দিন, টেকসই সহায়ক ব্যবস্থা গড়ে তুলুন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে হাসপাতাল সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা  সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাঃ হাদী জিয়া উদ্দীন আহমেদ।

মায়ের দুধের উপকারিতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন গাইনী কনসালটেন্ট ডাঃ আকলিমা খাতুন। তিনি বলেন, শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য মাতৃদুগ্ধের কোন বিকল্প নেই। শিশুর জন্মের পর ১ ঘন্টার মধ্যে সালদুধ খাওয়ালে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শিশুর জন্মের পর পর্যাপ্ত পরিমাণে মাতৃদুগ্ধ সরবরাহ না হলে সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে প্যাকেটজাত দুধ খাওয়ানো যেতে পারে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে মাতৃদুগ্ধে শিশুর ক্রমবিকাশের সকল পরিমাণ উপাদান উপস্থিত আছে। তাই প্রথম ৬ মাস শুধু মাতৃদুগ্ধই যথেষ্ট। ছয় মাস পর শিশুকে দুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো যেতে পারে।

সিভিল সার্জন ডাঃ হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, শিশুর জন্মের ছয় মাসের মধ্যে মাতৃদুগ্ধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ানো যাবে না। শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে মাতৃদুগ্ধই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুর জন্মের প্রথম ছয় মাসে ৯৫ শতাংশ মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে তাই এই ৬ মাস মাতৃদুগ্ধ ব্যতীত অন্য কিছু খাওয়ানো উচিত নয়। এ ব্যাপারে সকল মায়েদেরকে সচেতন করতে হবে।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান বলেন, শিশুর খাবারের তালিকায় বাইরের প্যাকেটজাত দুধ রাখা যাবে না। কিছু ক্ষেত্রে তা শিথিলযোগ্য। মায়ের দুধ শিশুর ক্রমবিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর পাশাপাশি মায়ের স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সিজারের মাধ্যমে জন্মদানের প্রবণতা বেশি। সিজারের মাধ্যমে জন্মদানের ফলে মা ও শিশু দুজনেরই স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে যায়। এই সিজারের প্রবণতা কমিয়ে নরমাল ডেলিভারির বাড়াতে হবে। এতে করে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ থাকবে।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডাঃ দীপক কুমার সাহা, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আওলিয়ার রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ প্রমুখ।

অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশিদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা তথ্য অফিসার শিল্পী মন্ডল, সিনিয়র সাংবাদিক রিফাত রহমান, মফিজ জোয়ার্দ্দার, আহসান আলম, সিভিল সার্জন অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছে, দামুড়হুদায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাস্তবায়নে এই কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালী শেষে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালী ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডাঃ হেলেনা আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন এমটি (ইপিআই) ফারুক আমমেদ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নিয়ামত আলী সহ হাসপাতালের সিনিয়ার স্টাফ নার্স, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ও সিএইচসিপি গণ প্রমুখ।

চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

স্টাফ রিপোর্টার

‘মাতৃদুগ্ধকে অগ্রাধিকার দিন, টেকসই সহায়ক ব্যবস্থা গড়ে তুলুন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে হাসপাতাল সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা  সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাঃ হাদী জিয়া উদ্দীন আহমেদ।

মায়ের দুধের উপকারিতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন গাইনী কনসালটেন্ট ডাঃ আকলিমা খাতুন। তিনি বলেন, শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য মাতৃদুগ্ধের কোন বিকল্প নেই। শিশুর জন্মের পর ১ ঘন্টার মধ্যে সালদুধ খাওয়ালে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শিশুর জন্মের পর পর্যাপ্ত পরিমাণে মাতৃদুগ্ধ সরবরাহ না হলে সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে প্যাকেটজাত দুধ খাওয়ানো যেতে পারে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে মাতৃদুগ্ধে শিশুর ক্রমবিকাশের সকল পরিমাণ উপাদান উপস্থিত আছে। তাই প্রথম ৬ মাস শুধু মাতৃদুগ্ধই যথেষ্ট। ছয় মাস পর শিশুকে দুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো যেতে পারে।

সিভিল সার্জন ডাঃ হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, শিশুর জন্মের ছয় মাসের মধ্যে মাতৃদুগ্ধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ানো যাবে না। শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে মাতৃদুগ্ধই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুর জন্মের প্রথম ছয় মাসে ৯৫ শতাংশ মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে তাই এই ৬ মাস মাতৃদুগ্ধ ব্যতীত অন্য কিছু খাওয়ানো উচিত নয়। এ ব্যাপারে সকল মায়েদেরকে সচেতন করতে হবে।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান বলেন, শিশুর খাবারের তালিকায় বাইরের প্যাকেটজাত দুধ রাখা যাবে না। কিছু ক্ষেত্রে তা শিথিলযোগ্য। মায়ের দুধ শিশুর ক্রমবিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর পাশাপাশি মায়ের স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সিজারের মাধ্যমে জন্মদানের প্রবণতা বেশি। সিজারের মাধ্যমে জন্মদানের ফলে মা ও শিশু দুজনেরই স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে যায়। এই সিজারের প্রবণতা কমিয়ে নরমাল ডেলিভারির বাড়াতে হবে। এতে করে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ থাকবে।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডাঃ দীপক কুমার সাহা, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আওলিয়ার রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ প্রমুখ।

অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশিদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা তথ্য অফিসার শিল্পী মন্ডল, সিনিয়র সাংবাদিক রিফাত রহমান, মফিজ জোয়ার্দ্দার, আহসান আলম, সিভিল সার্জন অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছে, দামুড়হুদায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাস্তবায়নে এই কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালী শেষে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালী ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডাঃ হেলেনা আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন এমটি (ইপিআই) ফারুক আমমেদ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নিয়ামত আলী সহ হাসপাতালের সিনিয়ার স্টাফ নার্স, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ও সিএইচসিপি গণ প্রমুখ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *