কুতুবপুর প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা সদরের ১ নং শম্ভুনগর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক দীর্ঘ ১বছর ধরে বন্ধ থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সর্বস্তরের জনগণ। গতকাল সোমবার সকাল ১১ টার দিকে সরজমিনে গিয়ে ক্লিনিক টি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। ১ নং ওয়ার্ডের ৪ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এই ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থাকে কিন্তু বিগত ১ বছর তারা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত ১ বছর পূর্বে ক্লিনিকের সিএইচসিপি ছিল সুমন ব্যানার্জি তবে তার স্বেচ্ছাচারিতা, স্থানয়ীয় জনগণের অভিযোগ এবং তৎকালীন ৩ নং কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমেদ হাসানুজ্জামান মানিক এবং কমিউনিটি ক্লিনিক ইনচার্জের হস্তক্ষেপে ঐ সময় ক্লিনিক টি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অভিযোগ ছিল সিএইচসিপি সুমন ব্যানার্জি ইচ্ছে মত ডিউটি করা, ঠিক মত ওষুধ না দেওয়া, ওষুধ দিলেও অসহায় গরীব মানুষের কাছ থেকে অসদ উপায়ে অর্থ গ্রহনসহ ক্লিনিকের ওষুধ অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়ার মত অভিযোগ ছিল। ক্লিনিক তালাবদ্ধ থাকায় সীমা খাতুনের বাড়ি গিয়ে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায় তিনি বলেন, আমি ছুটিতে আছি আজ, তবে ১ বছর যাবত ক্লিনিক খোলা হয় না কিন্তু আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করছি। রবিউল ইসলাম কে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি চুয়াডাঙ্গাতে ট্রেনিং এ আছি, ক্লিনিক ১ বছর ধরে বন্ধ তবে আমাদের স্যার বলেছে ক্লিনিক ধোয়ামোছা করে দ্রুত খোলা হবে, তবে টিকা দেওয়ার জন্য মাঝে মাঝে খোলা হয়
স্থানীয় জনগণ বলেন, অপরাধ করেছে একজন এর জন্য আমরা কেন সেবা থেকে বঞ্চিত হব দ্রুত ক্লিনিক চালু করা জরুরী। ক্লিনিকের সভাপতি ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল হক বলেন, এখান থেকে সদর হাসপাতাল ১৭ কি.মি. দূরে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক শহরে যাওয়া অতি কঠিন তাই অবিলম্বে জনগণের কথা চিন্তা করে ক্লিনিকটির সিএইচসিপি নিয়োগ দিয়ে পুনরায় চালু করে জনগনকে কাংক্ষিত সেবা প্রদান করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ কে অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কমিউনিটি ক্লিনিক ইনচার্জ ডা. মোঃ আওলিয়ার রহমান(মেডিকেল অফিসার ডিসি) কে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে অবহেলিত অসহায় গরীব মানুষের সেবার জন্য অতি দ্রুত ক্লিনিক টি সকাল থেকে বিকাল পুনরায় সেবা দিবে এমনটিই প্রত্যাশা করে সর্বস্তরের জনগণ।