দুর্নীতি প্রতিরোধ কল্পে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধকরণ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় রচনা, বিতর্ক ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার
দুদকের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান বলেছেন, আমরা যদি উন্নত বাংলাদেশ চাই, ঝুঁকিমুক্ত বাংলাদেশ চাই, তাহলে দুর্নীতিমুক্ত প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। এই উদ্দেশ্যেই ম্যাসেজটা পৌঁছে দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন। দুর্নীতি আসলে ছোট একটা শব্দ। কিন্তু কার্যকারীতা ব্যাপক। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নাই, সেই দেশ সম্পুর্ণ দুর্নীতিমুক্ত। দুর্নীতিকে দমন করা কঠিন ও দৃঢ় কাজ। তবে এটা যদি স্থানীয় পর্যায়ে রাখা যায় তাহলে দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হবে। আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনে দুটি বিষয় নিয়ে কাজ করি


গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কল্পে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধকরণ উপলক্ষে রচনা, বিতর্ক ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে ২০০৪ সালে যে আইন পাশ হয়েছে, সেখানে ৩৮টি ধারা সংযোজিত আছে। ৩৮নং ধারায় ১৭নং ধারায় দুর্নীতির কার্যাবলীর বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। তাতে ৬টি প্রতিরোধমূলক ও ৫টি দমনমূলক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। আইনের যে ধারাগুলি রয়েছে সেই ধারায় যারা দুর্নীতিবাজ আছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা। সবাইকে একটি ম্যাসেজ দেয়া। যে দুর্নীতি করলে শাস্তির হবে। পাশাপাশি প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা আছে। সেখানে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, গণশুনানি, সততা সংঘ ইত্যাদি ব্যবস্থার মাধ্যমে সচেতন করে তোলা। যাতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব গড়ে তোলা যায়। যেমন সততা স্টোরে ক্রেতা থাকবে বিক্রেতা থাকবে না।
চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রচনা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিলো “দুর্নীতি উন্নতির অন্তরায়’ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ২৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। আর বিতর্কের বিষয় ছিলো “প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাহিদায় দুর্নীতির প্রধান কারন”। এর পক্ষে বিতর্কে অংশ নেয় ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বিপক্ষে অংশ নেয় কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ। দুই পক্ষই বিচারকদের সামনে নানান যুক্তি উপস্থাপন করেন। পরে কালেক্টরেট স্কুলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
অপরদিকে চিত্রাংকনের বিষয় ছিলো “বাংলা নববর্ষ”। এতে ২৪ প্রতিযোগী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে দুপুরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশন ও চুয়াডাঙ্গা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপিত সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দুদকের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বজলুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব রেবেকা সুলতানা। উপস্থিত ছিলেন দুদকের উপ সহকারী পরিচালক সাইদ আনোয়ার, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য শরীফা খাতুন, রাশিদুল হক ও বিপুল আশরাফ। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *