আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে পথসভায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু চুয়াডাঙ্গাতে মা ও শিশু হাসপাতাল তেরীর ব্যবস্থা করা হবে

স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেছেন, আমরা বলেছি আগামী ৫ বছরে এক কোটি বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো উন্নত করা হবে। সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গার বাড়তি এজেন্ডা হচ্ছে, আমরা মোবাইল হাসপাতালের ব্যবস্থা করব। মোবাইল হাসপাতালটা হচ্ছে এই, একটা বড় বাসের মধ্যে প্রাথমিক যে চিকিৎসা এবং পরীক্ষা সেগুলো করা হবে। সে মোবাইলটি একটি গ্রাম থেকে আরেকটি গ্রামে ঘুরবে। একটি ইউনিয়ন থেকে আরেকটি ইউনিয়নের ঘুরবে। এটা চুয়াডাঙ্গার এজেন্ডা, জাতীয় অ্যাজেন্ডা না। জাতীয় এজেন্ডা হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা, কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।
গতকাল রবিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পথসভায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন। প্রতিটি পথসভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া এবং মোনাজাত করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে বিশেষায়িত হাসপাতাল করতে চাই। সাধারণ হাসপাতাল কয়েকটি আছে। তবে কিডনি রোগ, হার্টের রোগ বা অন্য যেকোনো রোগের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল নেই। আমাদের পরিকল্পনায় আছে, চুয়াডাঙ্গাতে একটি মা ও শিশু হাসপাতাল তেরীর ব্যবস্থা করা। কারণ চুয়াডাঙ্গার অধিকাংশ মা-বোন ধর্মভীরু। তাদের জন্য, মায়েদের জন্য যদি আলাদা হাসপাতাল হয় তাহলে চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে পথটা প্রসারিত হবে। এগুলো আমাদের উন্নয়নের কথা, এগুলো গল্প না। আমার কথা রেকর্ড হচ্ছে, ঘরে ঘরে সাংবাদিক। এই রেকর্ডের সামনে কথা বলছি। অর্থাৎ আজ থেকে ৫ বছর পরে আবার ধানের শীষের পক্ষে আপনাদের সামনে যখন ভোট চাইতে আসব, আপনাদের দাবি-দাওয়া, আমাদের প্রতিশ্রুতিগুলো অধিকাংশই যদি পালন করা না হয়, তাহলে এই রেকর্ড দেখাবেন। ৫ বছর আগে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন কিছুই হয়নি। কিন্তু ১০০ মধ্যে যদি ৭০/৮০ ভাগ কাজ হয় অন্তত আবার একবার সুযোগ দেওয়ার কথা বলবেন। তবে কিছুই যদি না হয়, বলবেন অনেক ধন্যবাদ, অনেক কথা বলেছেন আপনারা কিছুই করেন না, শুধু চাঁপাবাজি করেন।
বিজিএমইএর সভাপতি বাবু খান আরও বলেন, চাঁপাবাজির রাজনীতি আমরা করি না। আমরা এই জন্য বলছি আমরা চাঁপাবাজির রাজনীতি করি না। সেটা হচ্ছে এই যে, প্রতিশ্রুতিগুলা চাইলে বাস্তবায়ন করা সম্ভব, আমরা সেগুলোর কথা বলছি। আমরা হাসপাতালের কথা বলছি। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা বলছি। আমরা রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নের কথা বলছি। বেকার সমস্যা সমাধনের কথা বলছি।
পথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান খোকন, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিয়ার রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্দার রহমান বিশ্বাস, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিম খান, সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার নাসির উদ্দীন প্রমুখ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *