জীবননগর অফিস:
জীবননগরে সরকারিগাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে গাছ কাটা অব্যাহতরয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে হরিহরনগর-নবদুর্গাপুর সড়কের পাশে অর্ধেক কাটা অবস্থায় একটিনিম গাছ ও একটি শিশু গাছ দেখা যায়। গ্রামবাসীরউপস্থিতি টের পেয়ে গাছ কাটা বন্ধ রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় শ্রমিকরা। গ্রামবাসীর অভিযোগ করে জানান, জীবননগরের আনারুল ইসলাম হকা ডাক্তার গাছ কাটারসঙ্গে জড়িত। এর আগেও একাধিকবার তার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ রয়েছে। অবৈধভাবেসরকারি গাছ কাটা প্রসঙ্গে আনারুল ইসলাম হকা ডাক্তার বলেন, আমি এই এলাকায় যত গাছ আছেসেগুলো দেখাশোনা করি। সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে রাস্তার দু’পাশে যে গাছগুলো সমিতিরসহায়তায় লাগানো হয়েছিল সেই সমিতির আমি সভাপতি। আমার কাছে হরিহরনগর গ্রামেরমাদ্রাসায় কর্মরতরা এসে আর্থিক সহযোগীতা চাই। তাদেরকে সহায়তা করার জন্য আমি একটিগাছ কেটে নেয়ার জন্য বলি। তারা কয়টা গাছ কেটেছে তা আমি জানি না। যেসব গাছ কাটাহয়েছে তার মধ্যে বন বিভাগ পায় ৫৫% কমিশন আর আমরা পাই ৪৫%। এর আগেও আমিকরোতোয়া রোডে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করেছি’। এ বিষয়টি জীবননগর উপজেলাবন কর্মকর্তা কাজল ভাই সব জানে।জীবননগর উপজেলা বন কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, সরকারি গাছ কাটা হচ্ছে এমনঅভিযোগ পেয়ে আমি সেখানে আমার দুইজন লোককে পাঠায়। তারা সরজমিনে দেখে এসেছে,সরকারি জমির গাছ কাটার কোনো অনুমতি আমরা দেইনি। যারা গাছ কাটার সাথে জড়িত তাদেরবিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



