স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে প্রাণিসম্পদ অফিসের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জীবননগর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ সাহাবুদ্দিন।
সভায় বক্তারা বলেন, জীবাণুনাশক, এন্টিবায়োটিকসহ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের অযথা ব্যবহার আজ মানবজাতির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুল চিকিৎসা, নিজে নিজে এন্টিবায়োটিক সেবন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ না মানার কারণে জীবাণুগুলো আরও শক্তিশালী হয়ে প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। এখনই সচেতন না হলে ভবিষ্যতে সাধারণ সংক্রমণও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তাই সঠিক ব্যবহার, চিকিৎসকের পরামর্শ মানা এবং প্রতিরোধই আমাদের প্রধান অস্ত্র। অপ্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করা থেকে বিরত থাকতে হবে। রোগী ও তাদের পরিবারকে ওষুধের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে বুঝিয়ে বলতে হবে। আমরা সবাই মিলে সচেতন হলে এ বিপদ ঠেকানো সম্ভব। ঠান্ডা-জ্বর বা ভাইরাসজনিত অসুখে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না এটা সবাইকে জানতে হবে। দোকান থেকে নিজে কিনে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে হবে। আমরা যদি এখন দায়িত্বশীল না হই, তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভয়াবহ প্রতিরোধী জীবাণুর সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে। চিকিৎসকের নির্দেশ ছাড়া সন্তান, বাবা-মা বা পরিবারের অন্য কাউকে কখনোই অ্যান্টিবায়োটিক খেতে দেয়া উচিত নয়। অসম্পূর্ণ কোর্স বন্ধ করা, ওষুধ ভাগ করে খাওয়া এসব অভ্যাসই প্রতিরোধী জীবাণু তৈরির প্রধান কারণ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, জেলা কৃত্রিম প্রজননের উপ-পরিচালক আ.হ.ম শামিমুজ্জামান, জেলা ভেটেরিনারী অফিসার ডা. আতিবুর রহমান। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিবৃন্দ, পল্লী ডাক্তার, প্রান্তিক খামারি ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা



