শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে গণসংযোগকালে বিএনপি নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ

স্টাফ রিপোর্টার

বিএনপির ৩১ দফা, তারেক রহমানের বার্তা ও ধানের শীষের প্রচারণায় ব্রত নিয়ে মাঠে নেমেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। অব্যহতভাবে প্রত্যেকদিন সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ছুটছেন জেলা বিএনপির এই নেতা। মানুষের সুখ-দুঃখের গল্প যেমন শুনছেন, তেমনি নিজেও নিজ এলাকার প্রত্যেকটি পাড়া-মহল্লা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। এলাকাবাসীদের কাছে শুনছেন, এ অঞ্চলের দুঃখ ঘুচাবার জন্য কি কি প্রয়োজন। প্রিয় নেতাকে নিজ এলাকায় দেখে সকলেই সাদরে সম্ভাষণ জানাচ্ছেন, মুরুব্বিরা করছেন মাথায় হাত রেখে দোয়া।

গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের হাটখোলা বাজার থেকে ডিঙ্গেদহ বাজার ও রাস্তার উভয়ই পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালান চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: শরীফুজ্জামান শরীফ। বিকেল থেকে দীর্ঘ রাত অব্দি শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের বহালগাছী, কিরনগাছি, যুগিরহুদা, জাদবপুর, কালি ভান্ডারদোহা, বসু ভান্ডারদোহা, নতুন ও পুরাতন ভান্ডারদোহা গ্রামে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালান চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: শরীফুজ্জামান শরীফ।

প্রচারণাকালে তিনি বলেন, ‘আমার ভাই ও বোনেরা, এই গ্রামের পথ-মাঠই আমাদের প্রেরণা। আমি আপনাদের কাছে এসে বুঝতে পারি, আপনাদের সুখ কোথায় আর দুঃখ কোথায়। আপনাদের সুখ তো একটাই-যখন কৃষক তার ফসলের ন্যায্য দাম পেয়ে সন্ধ্যায় হাসিমুখে ঘরে ফেরে, যখন শ্রমিক তার ঘাম ঝরানো মজুরি দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি ফোটায়। কিন্তু বলুন তো, আজ সেই সুখ কি আছে? আপনাদের দুঃখ তো প্রতিদিনের সঙ্গী-বাজারের আগুন, সন্তানের চাকরির জন্য হয়রানি, সামান্য সুবিচারের জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘোরা। বিদ্যুতের বিল দেখে রাতে ঘুম আসে না, ছেলেটার লেখাপড়ার খরচ কীভাবে জোগাড় হবে, সেই চিন্তা! এটাই হলো দুঃশাসনের ফসল!’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি, এই গ্রামের মানুষজন কেবল শান্তিতে বাঁচতে চায়, কেউ তাদের অধিকার না ছিনিয়ে নিক, এটুকুই তাদের চাওয়া। বিএনপি সব সময় এই গ্রামের মানুষের দল। আমাদের গঠনতন্ত্রের অঙ্গীকারই হলো, মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকা। তারেক রহমানের ৩১ দফা এই গ্রামের প্রতিটি মানুষের জন্য ন্যায়বিচার, ন্যায্যমূল্য আর সম্মান ফিরিয়ে আনবে। আপনারা ধানের শীষকে ভোট দিন, আমরা আপনাদের দুঃখ দূর করে সুখের দিন ফিরিয়ে আনব।’

শরীফুজ্জামান শরীফ আরও বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমানের ৩১ দফা হলো এই বাজারের প্রতিটি ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের মুক্তির সনদ। ৩১ দফায় আমরা অঙ্গীকার করেছি অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন করে কঠোর হাতে এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেব। প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করব, যাতে কোনো চাঁদাবাজি বা হয়রানি না হয়। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনব, যা আমাদের ১০ দফা আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল।’

তিনি আরও বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচিতে যে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কথা ছিল, আমরা সেই পথেই হাঁটব। তারেক রহমানের নির্দেশ—আমাদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা হবে জনমুখী। আপনারা আর ভয় পাবেন না। ধানের শীষে ভোট দিন। ধানের শীষের বিজয় মানে আপনাদের অর্থনৈতিক মুক্তি, আপনাদের ব্যবসায়িক নিরাপত্তা এবং আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের বিজয়।

গণসংযোগকালে বিএনপি নেতা মো: শরীফুজ্জামানের সঙ্গে ছিলেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপটন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা যুবদলের সহ-সাধারন সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন হাবলু, শফিউল হক সালাম, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক হামিদ উদ্দিন বাবু,, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক  মাহাবুব হক মহাবুব, পদ্ববিলা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রুবেল হাসান, মহসিন আলী, রোমেল, তুহিন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি খন্দকার আরিফ, শংকারচন্দ ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ওবাউদুল উবাই, সহ-সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রুবেল, যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস পঁচা, যুগ্ম সম্পাদক ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম,সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য টুটুল, সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মতিউর রহমান মিশর, যুগ্ম আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সদর উপজেলার ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহাবুব, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব,  পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাজেদুল আলম মেহেদী, সদস্য শাহরুক আহমেদ, শ্রমিক নেতা মনজুর আলীসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলাদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *