তিতুদহ প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলাধীন তিতুদহ ইউনিয়নে তিতুদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কৃষি অর্থনৈতির বন্ধু মেছো বিড়াল সংরক্ষণে আমাদের করুণীয় বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৪ টার সময় তিতুদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেছো বিড়াল সংরক্ষণে আমাদের করনীয় বিষয়ক আলোচনা সভা ও প্রচারণা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। উক্ত কর্মসূচি সামাজিক বন বিভাগ, কুষ্টিয়া ও বাংলাদেশ ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড নেচার ইনিশিয়েটিভ সংস্থা যৌথ পালন করে।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে করেন বড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ এর প্রাণিবিদ্যা প্রভাষক ও বাংলাদেশ ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড নেচার ইনিশিয়েটিভ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আহসান হাবীব শিপলু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- রফিকুল ইসলাম, সহকারী বন সংরক্ষক, সামাজিক বন বিভাগ, কুষ্টিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলাকে একটি বন্যপ্রাণী ভান্ডার বলে সকলে চেনেন। মেছো বিড়াল এখনো পর্যাপ্ত এই অঞ্চলে পাওয়া যায়। শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে এখনো বিক্ষিপ্ত ভাবে এই প্রাণী নিধনের শিকার হচ্ছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিশেষ করে বাংলাদেশ ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড নেচার ইনিশিয়েটিভ দীর্ঘ দিন ধরে এই প্রাণী সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে বন বিভাগের সাথে। আমরা সকল বন্যপ্রাণীর সাথে মানুষের সহ অবস্থান চাই।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা রকিক উদ্দিন বলেন, মেছো বিড়াল সংরক্ষণে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কৃষকের অকৃত্রিম বন্ধু এই প্রাণী। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী এই প্রাণী সংরক্ষিত। এই প্রানী আটক, বহন, হত্যা, পাচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ এই কাজ করলে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ০১ বছরের জেল।
সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবীব শিপলু বলেন, আমরা চাই চুয়াডাঙ্গা জেলার মেছো বিড়ালসহ অন্য প্রাণিকুল মানুষের সহাবস্থানে বেচে থাকুক। আল্লাহ প্রত্যেকটি প্রাণীকে মানুষের কল্যানের জন্য সৃষ্টি করেছেন। একটি মেছো বিড়াল তার ১০ বছর জীবন কালে ৫০ লক্ষ টাকার ফসলের ক্ষতির হাত থেকে কৃষককে রক্ষা করে। তাই আসুন এই প্রাণীটি সংরক্ষণে প্রত্যেকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে বন বিভাগের সহযোগিতায় কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন- তিতুদহ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসান এবং হুমায়ুন কবির। পরবর্তীতে তিতুদহ বাজারে মেছো বিড়াল সংরক্ষণের প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইউনিয়ন হতে আগত সংগঠনের সকল সদস্য, বন বিভাগের কর্মচারী, স্থানীয় সংবাদ কর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।



