আলমডাঙ্গা অফিস
দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জামান দুদু আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নেমেছেন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে নির্বাচনী প্রচারণার যাত্রা শুরু করেন। প্রথম দিনেই চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর এবং আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ও জামজামি ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাধারণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ধানের শীষের পক্ষে সমর্থন চান। খাসকররা ও জামজামি ইউনিয়নে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা দুদুকে ঘিরে নানা স্লোগান দেন “দুদু ভাই ভয় নাই, ভোটের মাঠ ছাড়ি নাই।” এলাকাজুড়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি চোখে পড়ে।
পথসভায় দুদু স্পষ্ট করে বলেন, “এখন আর চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ কিংবা সন্ত্রাসী দিয়ে কোনো রাজনৈতিক বিজয় আনা সম্ভব নয়। জনগণের ভালোবাসা, জ্ঞান, শিক্ষা, অভিজ্ঞতা আর কৌশল দিয়েই বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আহ্বান জানান, ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং অতীতের অপকর্মে জড়িতদের বয়কট করতে হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হলে দেশের গণতন্ত্র অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। তাই ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্তর্বতীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন হবে বলেছেন। এই নির্বাচনে সাধারণ জনগণ, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষদেরকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ ছাড়া বিজয়ী হওয়া কোনভাবে সম্ভব নয়। বিএনপির বিরুদ্ধে যে যেভাবেই ষড়যন্ত্র করুক না কেন। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি কোন ষড়যন্ত্র করে কাজ হবে না। আমরা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের নেতা তারেক রহমানের সৈনিক। আওয়ামী লীগ এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপি’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা আমাদের করতে হবে। ‘আওয়ামী লীগ নানাভাবে বিএনপি ও দলের নেতাকর্মীদের ওপর গত ১৬ বছর ধরে যে নির্যাতন করেছে সেভাবেই তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। এই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ধানের শীষকে জয়লাভ করাতে হবে। তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
গণসংযোগ ও পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল কাওনাইন টিুলু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপিরি সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেহালা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আসিরুল ইসলাম সেলিম, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপি সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামীম রেজা ডালিম, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, সহ-সভাপতি আরিফুজ্জামান পিন্টু, সহ-সাধারণ সম্পাদক পিনু মুন্সী, জেলা কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস.কে.সাদী, সদস্য আবু জাফর, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মকলেচুজ্জামান মকলেচ, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মুহিদুল, ্আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিচুর রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলার কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, বিএনপি নেতা ছিতাপ আলী, নাসির কমিশনার, ডা. মানোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ডা. আলাউদ্দিন, যুবদল নেতা বোরহান উদ্দিন, শফিকুল আজম ডালিম, যুবদল নেতা মাগরিবুর রহমান, রহিতুজ্জামান, দুলু মিয়া, আখতার আলী, ইশাহক আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.তালহা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনজুরুল জাহিদসহ বিএনপিও এর অংগ সংগঠন সমুহের নেতৃবৃন্দ।