খন্দকার শাহ আলম মন্টু, আলমডাঙ্গা
আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ২৫ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে পদায়ন আছেন মাত্র ৪ জন। এতে হিমসিম খাচ্ছেন কর্মরত ডাক্তাররা। নিয়মিত চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ।
জানা গেছে, ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলাটি গঠিত। জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। এই বিশাল জনগোষ্ঠির কথা মাথায় রেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। উন্নিত হওয়ার পর থেকেই নানা সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কম-বেশি অনিয়ম থাকলেও সম্প্রতি সময় তা ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে। কিন্তু চলতি বছরে ৪ জন ডাক্তার হঠাৎ বলদি হলে সমস্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ৩১ জন নার্সের মধ্যে ১৯ নার্স নার্স, মোট ৪ জন ডাক্তার কর্মরত আছেন। বাকি পদ শূণ্য রেখে কার্যক্রম পরিচালনায় হিমসিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে চিকিৎসা তো দুরে কথা চিকিৎসকই রোগী হতে বসেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাক্তার শারমিন আক্তার বলেন, প্রায় ৫ লাখ জনগোষ্ঠির চিকিৎসা সেবা দেয়া আমাদের ৪ জন ডাক্তারের পক্ষে খুবই কঠিন বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা প্রতিদিন ৬শত থেকে ৭শত রোগীকে আউটডোরে চিকিৎসা সেবা দিই। ৫০ বেডের হাসপাতালে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী ভর্তি থাকে। সেই হিসেবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সাধ্যমত। আমি আমার সিভিল সার্জনকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে সেটা আমি জানি। এবিষয়ে একটি লিখিত আবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সংকট কেটে যাবে।