বৈধ টেন্ডারের মাধ্যমে দর্শনা-রুদ্রনগর সড়কের ৩টি গাছ কাটা হয়েছে ,পড়ে থাকা গাছগুলো ঠিকাদার সরিয়ে নিয়েছে

দর্শনা অফিস

দর্শনার রুদ্রনগরে কড়ই গাছ কাটা নিয়ে দীর্ঘদিনের জটিলতার অবসান হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রুদ্রনগরের ৩টি কড়ই গাছ কর্তন ইস্যুর নিষ্পত্তি হলো। টেন্ডারের মাধ্যমে কাটা গাছগুলো অবশেষে তুলে নেন ঠিকাদার। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে রুদ্রনগরের ভাটার সামনে চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ  বিভাগের উপ-বিভাগীয়  প্রকৌশলী সুজাত কাজী ও ঠিকাদার আক্কাছ আলী সহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করে। পরে  কাটা অবস্থায় পড়ে থাকা গাছগুলো গাড়িতে লোড করে সরিয়ে নেওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের রুদ্রনগর অংশে সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের আওতায় মোট ১৭৪টি গাছ কর্তনের জন্য ১১টি লটে সরকারি টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে ৯টি লটের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হলেও দুটি লটে কিছু গাছের কর্তন আইনি জটিলতায় আটকে ছিল দীর্ঘদিন। বিশেষ করে একটি লটে থাকা ৩টি গাছকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালে বন বিভাগ একটি মামলা দায়ের করে ঠিকাদার আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, তিনি অনুমোদন ছাড়াই গাছ কেটেছেন। ফলে কাটা অবস্থায় থাকা গাছগুলো সরিয়ে নিতে পারেননি ঠিকাদার, যার ফলে তিনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। সম্প্রতি আদালতের রায়ে বলা হয়, মামলাটি পূর্বে কর্তনকৃত গাছ সংক্রান্ত হলেও যেসব গাছ এখনও দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলো নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়, পূর্বে কর্তনকৃত গাছগুলো যেন ঠিকাদার আইনানুগভাবে সরিয়ে নিতে পারেন।

ঠিকাদার  আক্কাছ আলী বলেন, দর্শনা-মুজিবনগর সড়ক নির্মাণের আগে দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তার পাশে ১৭৪টি গাছ বাঁধা সৃষ্টি করছিল। এগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে ১১টি লটে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে ৯টি লটের গাছ ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে। বাকি রয়েছে দুটি লট, একটিতে ৩টি এবং অন্যটিতে ২৭টি গাছ। মোট ৩০টি গাছ কাটা এখনো বাকি। এর মধ্যে ২৭টি গাছের ওয়ার্ক অর্ডার আমার কাছে রয়েছে। সরকারি টেন্ডার অনুযায়ী আমি তিনটি গাছের জন্য যথাযথভাবে ফি জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু বন বিভাগের মামলার কারণে দীর্ঘদিন গাছগুলো নিতে পারিনি, এতে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তিনি আরও বলেন, আদালতের রায়ের পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতায় আমি গাছগুলো নিতে পেরেছি। আমি নিয়ম মেনেই কাজ করেছি, অবৈধ কিছু করিনি। আশা করছি এখন প্রকল্পের বাকি কাজ দ্রুত শেষ করতে পারব। ঠিকাদার আক্কাছ আলী ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার খয়েরতলা গ্রামের বাসিন্দা এবং তাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম জেআর এন্টারপ্রাইজ, কুষ্টিয়া।

চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী সুজাত কাজী বলেন, গাছ কাটা পুরোপুরি বৈধ টেন্ডারের আওতায় হয়েছে। টেন্ডার সংক্রান্ত সব কাগজপত্র আমাদের অফিসে সংরক্ষিত আছে। কেউ চাইলে অফিসে এসে তা যাচাই করতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *