মেহেপুর অফিস
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে হেরে গেছে চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রয়াত প্রকৌশলী মোহাম্মদ বিশ্বাসের মেয়ে মাহিয়া তাসনিম। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে নানা বাড়ি মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার তারানগর গ্রামে। উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে নানার বাড়িতে গ্রামে চির সমাহিত হল মেধাবি তাসনিম।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ালগাছি গ্রামের প্রকৌশলী মোহাম্মদ বিশ্বাসের সাথে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার জয়পুর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে আফরোজা আক্তার বিথির দাম্পত্য জীবন শুরু হয়। সংসার জীবনে দুই কন্যা ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কাজের সুত্রে দুবাই বসবাস করতেন মোহাম্মদ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মোহাম্মদ। স্বপ্ন ছিল বড় মেয়েকে নিজের মত বুয়েট প্রকৌশলী বানাবেন। স্বামীর মৃত্যুতে দুই মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন আফরোজা আক্তার বিথি। স্বামীর স্বপ্ন পূরণ করতেই বড় মেয়ে মাহিয়া তাসনিমকে মাইলস্টনে ভর্তি করান। ছোট বেলা থেকেই অত্যান্ত মেধাবী তাসনিম এগিয়ে যাচ্ছিল লক্ষ্যের দিকে। দুই মেয়েকে আঁকড়ে ধরে স্বামীর শোক ভুলতে চাইছিলেন আফরোজা। কিন্তু নিয়তি বড়ই নির্মম। মেধাবী তাসনিম সেদিন কোচিং করতে শ্রেণীকক্ষে ছিল। বিমান দুর্ঘটনায় তার শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই মেয়েকে হারানোর অশনি সংকেতে পাগল প্রায় মা আফরোজা। শেষ পর্যন্ত সবাইকে কাঁদিয়ে মাহিয়া চলে গেল না ফেরার দেশে। আত্মীয় স্বজনরাও এই শোকে বাকরুদ্ধ। এ অনাকাংক্ষিত দুর্ঘটনার দায় কেউ নেবে না তাই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্বজনদের অনেকেই।
নিহতের মা আফরোজার ইচ্ছায় মুজিবনগরের জয়পুর গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তার মেয়েকে। শুক্রবার সকালে মরদেহ এসে পৌঁছুলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এমন মৃত্যু আর যেন দেখতে না হয় সেই প্রত্যাশা স্বজনদের।