অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় এক জামায়াত নেতার মৃত্যু হয়েছে। এতে অন্তত আরও দুজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (১৯ জুলাই) রাত পৌনে ৩টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা চৌরাস্তা মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত মাওলানা আবু সাঈদ (৫২) খুলনার দাকোপ উপজেলা আমির। আহতরা হলেন, জামায়াত কর্মী মো. আনিসুর রহমান ও মো. ইকবাল হোসেন। তাদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (১৯ জুলাই) রাত পৌনে ৩টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা চৌরাস্তা মোড়ে গাড়ি পার্কিং করে চা খাচ্ছিলেন সবাই। এ সময় দাকোপ উপজেলা আমির মাওলানা আবু সাঈদ দেখতে পান, তার গাড়ির ব্যানারটি খুলে গেছে। ঠিক করার জন্য তিনি নিজেসহ কয়েকজন কাজ করছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি বাস সজোরে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলে মাওলানা আবু সাঈদ নিহত হন। আর আহত হন জামায়াত কর্মী মো. আনিসুর রহমান ও মো. ইকবাল হোসেন।
মাওলানা আবু সাঈদ চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদরাসার সহকারী মৌলভী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী ও চার মেয়ে রয়েছে। এবার তার বড় মেয়ে জুই খাতুনের বিয়ে হয়ে গেছে, মেজো মেয়ে তাহেরা খাতুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে, সেজো মেয়ে হুমায়রা খাতুন এ বছর চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে, আর ছোট মেয়ে যুথী অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
মাওলানা আবু সাঈদের মরদেহ দাকোপে আনা হয়েছে। সেখানে পারবারিক ও সাংগঠনিকভাবে বসে জানাজা ও দাফনের সময় নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, রাত ৩টার দিকে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া দুই-তিন জন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে খুলনা জেলা ও মহানগর থেকে ২৬০টি বাস ও ট্রেনের একটি বগি ভর্তি করে নেতাকর্মীরা ঢাকায়ে গেছেন।
খুলনা মহানগর জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ১১০টি বাসের ব্যবস্থা করেছে। এসব যানবাহনে প্রায় ৭ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় গেছেন। এছাড়া ট্রেনের একটি বগিও রিজার্ভ ছিল। পাশাপাশি, ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।