স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গার আমিরপুর রেলগেটে ট্রেন দুর্ঘটনায় আইনুর ইসলাম ওরফে জীবন আহমেদ (২৩) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার দিকে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী গেটম্যানের দাবিতে ২ ঘন্টা রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ও জিআরপি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
এলাকাবাসীরা জানায়, সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামের আরমান আলীর ছেলে আইনুর ইসলাম ওরফে জীবন আহমেদ চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজে বিএ ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। ঘটনার সময় জীবন আহমেদ মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গা শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আমিরপুরে অরক্ষিত রেলগেট অতিক্রম করার সময় চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই জীবন নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পর জীবন আহমেদের দেহ কিছু দূরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও, মোটরসাইকেলটি ট্রেনের নিচে আটকে যায়। ট্রেনটি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে থেমে যায়। পরে মোটরসাইকেলটি রেললাইন থেকে সরিয়ে দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করে।
খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা এসে রেললাইনের উপর অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। তারা অরক্ষিত রেল গেটে গেটম্যান দেওয়ার দাবী জানান। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষুদ্ধ জনতাকে শান্ত করেন। তবে তারা অবরোধ চালিয়ে যান। এ সময় আপ ও ডাউন লাইনে বেশ কয়েকটি ট্রেন দেড় ঘন্টা আটকা পড়ে। সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাইফুল্লাহ ও সহকারী কমিশনার আশিষ মমতাজ নিহত জীবনের বাড়িতে ছুটে যান। তারা তার পিতা-মাতাকে সান্তনা দেন। এছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে রেলগেটে গেটে ম্যান দেওয়ার আশ্বাসে এলাকাবাসী অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
চুয়াডাঙ্গা রেল পুলিশের এসআই জগদীশ কুমার জানান, নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খালিদুর রহমান বলেন, গ্রামবাসীর অবরোধের কারনে ট্রেন চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিলো। পরে আলোচনার ভিত্তিতে গ্রামবাসী অবরোধ তুলে নেয়। নিহতের পরিবারের সদস্যরা জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য বাড়ি নিয়ে গেছে।