বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গায় দুই দিনব্যাপী আঞ্চলিক রিভিউ কর্মশালার উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার

চুয়াডাঙ্গায় ‘মেহেরপুর সদরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করণ প্রকল্প’-এর দুই দিনব্যাপী আঞ্চলিক রিভিউ কর্মশালা শুরু হয়েছে। কর্মশালায় এই অঞ্চলের ৬ জেলার ২৮টি উপজেলায় কর্মরত বিএডিসি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, তুলা উন্নয়ন বোর্ডসহ কৃষি গবেষণা খাতে কর্মরত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কৃষিবিদ ও কৃষি উদ্যোক্তরা অংশ নিচ্ছেন। আজ  রোববার এই কর্মশালার সমাপ্তি হবে।

গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় শহরের একটি হোটেলে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বারির পরিকল্পনা মূল্যায়ন উইংয়ের পরিচালক ড. মো. আব্দুর রশীদ। মাওলানা মুফতি মামুনুর রশীদ পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন।

প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মতিয়ার রহমানের  সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপ- প্রকল্প পরিচালক ড. জাহান আল মাহমুদ। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের (বারি) এসও সগবি মামুন হোসাইনের সঞ্চালনায়  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা। বক্তব্য রাখেন, উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব বিভাগ বারি, গাজীপুরের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহা. মনিরুজ্জামান ও আলমগীর হোসেন ।

বক্তারা বলেন, এই অঞ্চলের কৃষির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে যে ফল-ফসলই আবাদ করা হয়, তারই ফলন ভালো হয়েছে। দুইদিনের এই কর্মশালা থেকে মাঠপর্যায়ের সমস্যাসমুহ চিহ্নিত করণ ও তা সম্মিলত উদ্যোগে বাস্তবায়ন করতে হবে।

প্রধান অতিথি ড. মো. আব্দুর রশীদ বলেন,  বিএডিসি ও কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাবির জাত সম্প্রসারণ করতে হবে। তাহলে আমরা উন্নতর জাতের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো। আমাদের অনেক ভ্যারাইটিজ আছে। আম্রপালী আম বারী -৩ নামে পরিচিত করতে হবে। আমরা এক অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবো। আজকের কর্মশালায় ৫/১০ টা সমস্যা লিখিতভাবে দিয়ে যাবেন। বারি ভ্যারাইটিজ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে না কেন? আমরা সবজিতে পিছিয়ে আছি। আমরা কৃষিকে বাণিজ্যিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়। সেজন্য সকলের সহযোগিতা ও সহমর্মিতা চাই। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের ভ্যারাইটিজ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চাই।

প্রকল্প পরিচালক ড. মতিয়ার রহমান বলেন, বারি সম্ভাবনাটাকে কাজে লাগাতে হলে গবেষণা প্রয়োজন। সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে সবজী ও ফলের জন্য এ অঞ্চল বিখ্যাত। কর্মশালায় চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার, কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান, মাগুরা মসলা গবেষনাগারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশরাফুল আলমসহ ছয়টি জেলার কৃষি বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *