উথলী প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সারাদেশ থেকে আসা ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়ে সরগরম হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী শিয়ালমারি পশুহাট। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল সাপ্তাহিক এই পশুহাটের দিন। সকাল থেকে হয়েছে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মত। জায়গা না পেয়ে অনেকের হাটের আশেপাশে ফাকা জায়গায় ও রাস্তার পাশে গরু নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। ঢাকা, চিটাগং, ফরিদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশাল, ভোলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাক নিয়ে গরু-ছাগল কিনতে এসেছেন ব্যাপারিরা। এদিকে কুরবানিতে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বাড়িতে ও খামারে লালন-পালন করা পশুগুলো হাটে নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা
সরজমিনে শিয়ালমারি পশুহাট ঘুরে দেখা গেছে, কুরবানির হাট উপলক্ষে ব্যাপক জমজমাট হয়ে উঠেছে এই হাট।কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। অনেক গুরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া আমদানি হয়েছে হাটে। সারাদেশ থেকে হাজার হাজার লোকজন এসেছে কেউ কুরবানিরজ পশু কিনতে আবার কেউবা বেচতে।
নিজে বৃষ্টিতে ভিজে গরু-ছাগলের মাথার ওপর ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল বিক্রেতারা। বৃষ্টিতে ভিজে গরু ক্রয় করছিলেন ক্রেতারা। গরু ছাগল কিনতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে দীর্ঘক্ষণ ধরে দরকষাকষি করতে দেখা গেছে।
গতকালের হাটেও ছিলো ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা অনেক বেশি। কুরবানির দেওয়ার জন্য অনেকেই এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে মাঝারি সাইজের দেশি এড়ে গরু পছন্দ করছেন। এদিকে বড় গরু তুলনামূলক কম বিক্রি হচ্ছে। অনেক খামারিদের গরু নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেক ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, এবার গরু ছাগলের দাম অনেক বেশি চাচ্ছে বিক্রেতারা। তারা যে দাম চাচ্ছে সেটা আমাদের বাজেটের মধ্যে হচ্ছে না। এদিকে বিক্রেতারা বলেছেন, গরু লালনপালনের ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। বিচালি, ভূষি, খুদ, গুঁড়া এগুলোর দাম অনেক বেড়ে গেছে। আমরা খরচ বাদ দিয়ে হাতে অল্প কিছু লাভ রেখে গরু ছাগলের দাম চাচ্ছি।
গরু ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া বলেন, অন্যদিনের তুলনায় আজকের হাটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যাপারীরা এসেছেন। একারণে গরুর দামও বেশি। আজকে হাটে পাঁচটা গরু এনেছিলাম। সবগুলো গরু বিক্রি হয়ে গেছে, লাভও হয়েছে। গরুর দাম এরকম থাকলে গরু পালনকারীরা লাভবান হবেন।
হাটে গরু কিনতে আসা মকবুল নামে আরেক ক্রেতা বলেন, কোরবানি করার জন্য একটি মাঝারি গরু খুঁজছি। এবছর গরু প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাম বেশি মনে হচ্ছে। যেহেতু কোরবানি করতে হবে তাই বেশি দাম দিয়েই গরু কিনতে হচ্ছে।
কুরবানির জন্য ছাগল কিনতে আসা লিটন হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে সব ছাগল ভিজে গিয়েছে যার কারনে ছাগল পছন্দ হচ্ছে না। আরেকটু ঘুরি দেখি পছন্দ না হলে আগামী সোমবার ডুগডুগি হাট থেকে ছাগল কিনবো।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম শিয়ালমারি পশুহাট
