ঝিনাইদহে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু

ঝিনাইদহ অফিস

ঝিনাইদহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় মাহাবুব হোসেন (৩৮) নামের এক প্রবাসী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০ টার দিকে সদর উপজেলার কালা পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহাবুব ওই গ্রামের সাব্দার বিশ্বাসের ছেলে।

জানা যায়, প্রায় ৮ বছর আগে পদ্মাকর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রবিউল ইসলামের শ্বশুর সিরাজ মোল্লার প্রায় ১ বিঘা জমি লিজ নেয় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী জিয়ারুল ইসলামের চাঁচা বাটুল বিশ্বাস। দু-মাস আগে আবারও এই জমি তার কাছে লিজ দেয় সিরাজ মোল্লা। এর মধ্যে জমি অন্য এক ব্যক্তির নিকট বন্ধক রাখে সে। এই জমিতে চাষ থাকায় ছেড়ে দিতে কয়েক মাস সময় চান বাটুল বিশ্বাস। কিন্তু সে সময় না দিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে জমি বুঝে দিতে চাই সিরাজ মোল্লা। বিষয়টি নিয়ে জমির পাশাপাশি তাদের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দও শুরু হয়। এ নিয়ে আজ সকালে ওই গ্রামের বিএনপি নেতাদের নিয়ে একটি সালিশ হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে জিয়ারুল ইসলামের চাচাতো ভাই মাহাবুর হোসেনকে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্ত্রী শম্পা খাতুন বলেন, সকালে বাড়ি থেকে স্টান্ডে একটি সালিশের কথা বলে বের হয়। কিছুক্ষণ পরেই শুনি আমার স্বামীকে ওরা মেরে ফেলেছে। আমি ছোট সন্তান নিয়ে অভিভাবকহীন হয়ে গেলাম। আমার স্বামী হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের কঠিন শাস্তি চাই।

এদিকে নিহতের চাচাতো ভাই ওয়ার্ড যুবদল নেতা জিয়ারুল ইসলাম বলেন, সামাজিকভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের জন্য রবিউল ইসলাম নির্দেশ দিয়ে হুমায়ন কবির ও সে মিলে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমি এর শাস্তি চাই।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তবে মাথার আঘাতটি বেশী গুরুতর ছিল। ধারনা করা হচ্ছে মাথার আঘাতের কারনেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মবর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জমি নিয়ে বিরোধে হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।তবে কেউ এখনও আটক হয়নি, মামলাও হয়নি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *