জীবননগর অফিস
জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের দরিদ্র কৃষক জালাল উদ্দীনের ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে ফেলার অভিযোগে প্রধান আসামী আলমগীর হোসেন(৪৩) কে গ্রেফতার করেছে জীবননগর থানা পুলিশ। বুধবার ভোরে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত আসামী আলমগীর হোসেন হরিহরনগর গ্রামের নতুন মসজিদ পাড়ার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।
জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে হরিহরনগর গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দীনের নিজের ২৫ কাঠা জমিতে ৩০০ টি ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জালাল উদ্দীন ঐ দিন গ্রেফতারকৃত আলমগীর হোসেনকে প্রধান আসামী করে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে ৩ জন স্বাক্ষীর নাম উল্লেখ করে আরও ৩/৪ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির আসামী করা হয়। আলমগীর হোসেনের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জালাল উদ্দীনের দীর্ঘ দিনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। পরে সেই জমিতে পেয়ারা চাষ করে জালাল উদ্দীন। গত শনিবার সন্ধ্যায় আলমগীর ও তার সহযোগীর ধারালো হাঁসুয়া দেখিয়ে খুন ও জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। দরিদ্র কৃষকের ফলন্ত ৩০০ পেয়ারা গাছ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপ মেরে কাটতে থাকে। কৃষক জালাল উদ্দীন বাঁধা দিতে গেলে আলমগীর ও তার সহযোগীরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধাওয়া করলে সে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যায়। পেয়ারা বাগান কেটে দেওয়ায় কৃষকের ৫ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিসাধন হয়। আসামীরা জালাল উদ্দীনের অন্যান্য ফসলের তসরুপ করার হুমকি দিতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসার জন্য অপেক্ষা করায় অভিযোগ করতে বিলম্ব হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো.মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, হরিহরনগরে দরিদ্র কৃষকের ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দেওয়ার ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান আসামীকে বুধবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়। আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।



