দামুড়হুদায় ধানের শীর্ষ প্রতীকের নির্বাচনী পথসভায় এমপি প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু

দামুড়হুদা অফিস

আসন্ন ক্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী পথসভা ও প্রচারণা অব্যহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার বিকালে দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী পথসভা ও প্রচারণায় অংশ নেন জেলা বিএনপির সভাপতি এমপি প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু।

এসময় তিনি উপস্থিত গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দিনের ভোট রাতে হয়ে গেছে, আপনার ভোট আরেকজন দিয়ে গেছে।  মৃত মানুষ ভোট দিয়েছে, প্রবাসীদের ভাই- বোনদের ভোট ডাকাতি করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে আমি, আপনি, আমরা কেউই  যেতে পারিনি।

বাবু খান বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে আমি নির্বাচন করেছিলাম। ৩০-শে ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ছিল। প্রকাশ্যে জনসভায় এখানে বলতে কোনো দ্বিধা নাই, ২৫-শে ডিসেম্বর এসপি সাহেব আমাকে ফোন করে বললেন, বাবু সাহেব কাল থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় যাবেন না। কেন যাব না? এমন প্রশ্নে সাহেব বললেন আপনার নিরাপত্তা আমরা দিতে পারব না। সেসময় আমি বলেছিলাম, নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি, রাজনীতি করি আমি, আপনি নিরাপত্তা দিবেন কী, দিবেন না, এটা আপনার বিষয়। আমি ঠিকই নির্বাচনী প্রচারণায় যাব। পরদিন ২৬ তারিখ আমি উথলীতে, আমার সাথে যারা সফরসঙ্গী নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলেন তাদের রক্তাক্ত শরীর নিয়ে আমাদের ফিরে আসতে হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করেনি। ১৮ সালে আমরা নির্বাচন করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের সংগ্রাম, আমাদের আন্দোলন বীথা গিয়েছে? যায়নি। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, প্রকাশ্যে দিবালোকে। বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল-বিএনপি গণমানুষের দল, যে দল অন্য কোনো দলের মতো গুপ্তচরের মতো গোপন রাজনীতি করিনি। দলের ভেতর দল তৈরি করি নাই। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল করি, প্রকাশ্যে দিবালোকে সব সময় একই কথা বলি। আমরা বিএনপি করি, আমরা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি, আমরা দলে ভেতরে ঢুকে, গোয়ান্দাগিরি করি নাই। আমরা যেটা করি নাই, আমাদের ইমান বিক্রি করি নাই। আমরা কেবলা পরিবর্তন করি নাই। এখন আমাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, তারা এদেশের স্বধীনতায় বিশ্বাস করে না, তারা স্বাধীনতা বিরোধী দল।

অনুষ্ঠিত পথসভায় বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ১৯৭১ সালে তাদের কী ভূমিকা ছিলেন আমরা  জানি, দেশের সাধারণ সন্মানিত ভোটাররা জানে। স্বাধীনতার এত সময় পেরিয়ে এসে এখন বাংলাদেশের মানুষের জন্য তাদের মায়া কান্না। যারা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, তাদের এই মায়া কান্না একটি বিভ্রান্তি তৈরি করা বিষয় ছাড়া আর কিছু নায়। এটা আমরা ইতিমধ্যেই বুঝে গেছি, বুঝে গেছি বলেই তারা এখন দেশ ও জনকল্যাণের উন্নয়নের কথা বলে না। বুঝে গেছি বলেই তারা শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলে না, স্বাস্থ্যব্যবস্থার কথা বলে না। কৃষির উন্নয়নের কথা বলে না। তারা  কী বলে? তারা বলে, বেহেশতের টিকিটি বিক্রির কথা।

নির্বাচনী প্রচারণা ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির  সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিলটন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর আবুল হাশেম, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলি ভুট্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম টুটুল, উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক ছালমা জাহান পারুল, উপজেলা যুব দলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু, সদস্য সচিব মহাফুজুর রহমান মিল্টন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক  আফজালুর রহমান সবুজ, সদস্য সচিব মাইনুর আহমেদ দৈলত খাঁন সুলতান সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *