চুয়াডাঙ্গায় খামারিদের মাঝে ডেইরি উপকরণ বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার

চুয়াডাঙ্গায় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প ‘এলডিডিপি’ এর আওতায় প্রান্তিক খামারিদের মাঝে ডেইরি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কার্যালয়ে ৪৮০ জন খামারিদের মাঝে গাভীর দুগ্ধজাতকরণে সহায়ক এ সকল উপকরণ বিতরণ করা হয়। খামারিদের হাতে উপকরণ তুলে দেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ সাহাবুদ্দিন।

একজন খামারিকে ২টি ২০ লিটারের মিল্ক ক্যান, ১টি ১০ লিটারের মিল্ক বাকেট, ১টি দুধ মাপা পট, একটি টিট ডিপিং কাপ, ১ সেট হ্যান্ড গ্লাভস, ১টি তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র এবং ১ জোড়া গামবুট এই মোট ৭ রকম উপকরণ দেওয়া হয়। এ সকল উপকরণ গবাদিপশু পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। ৭টি উপকরণ গবাদি পশু পালনে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন খামারিরা। প্রান্তিক খামারি কুতুব আলী বলেন, আমাদের গাভী গুলোর দুগ্ধ দহনে এই উপকরণগুলো কাজে লাগবে। তাছাড়া এখানে নিরাপত্তার জন্য হ্যান্ড গ্লাভস ও গামবুট দেওয়া হয়েছে যেটি আমাদের শরীরকে নিরাপদ রাখবে। খামারিদের সার্বিক উন্নয়নে এই প্রকল্পের অবদান অনেক।

উপকরণ বিতরণকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপি এর আওতায় চুয়াডাঙ্গা সদরে ৪৮০ জন খামারিদের মাঝে উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এ সকল উপকরণ গবাদিপশু পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মোট ৭ রকম উপকরণ খামারিদেরকে সরবরাহ করা হয়েছে। আশা করি এ সকল উপকরণ দ্বারা সকল খামারীরাই বেশ উপকৃত হবেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ শাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের বাইরে থেকে অনেক অল্প খরচে দুধ ও মাংস আমদানি করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার চায় নিজের দেশের খামারিরা উন্নয়ন করুক। বাইরে থেকে সস্তায় আমদানি না করে নিজ দেশে স্বল্প খরচে কিভাবে উৎপাদন করা যায় সেটি নিয়েই ভাবছে সরকার। নিজ দেশের খামারিদের টিকিয়ে রাখতে ও তাদের লাভবান করতে সকলকেই উৎসাহিত করা হচ্ছে। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে খামারিদের উন্নয়ন অবশ্যই সম্ভব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *