মেহেরপুর অফিস
মেহেরপুরের গাংনীর রাইপুর ইউপি কমপ্লেক্সে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে ইউপির মহিলা মেম্বার নারগিছ আক্তারের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত ভাংচুর চালিয়ে ৩৬ বস্তা চাল লুট করেন বলে অভিযোগ করেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান সারগিদুল ইসলাম। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মানব বন্ধন করেছেন স্থানীয় লোকজন। তবে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি মেম্বার নারগিছ।
প্যানেল চেয়ারম্যান সারগিদুল জানান, তিনি ইউপি কমপ্লেক্সের গুদামে চাল রেখে ভিডব্লিউডির চাল বিতরণ করছিলেন। এসময় মহিলা মেম্বার নারগিছ তার স্বামীসহ দুর্বৃত্তরা ইউপি কমপ্লেক্সে এসে হঠাৎ করে হামলা চালায়। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করে ৩৬ বস্তা চাল লুট করে। এ ছাড়াও জন্ম মৃত্যু রেজিস্টার নিয়ে যায়। এসময় তাদের হাতে লাঞ্ছিত হন তিনি।
সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হয়ে মহিলা মেম্বারের শাস্তির দাবীতে মানব বন্ধন করে। মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্যানেল চেয়ারম্যান সারগিদুল, বাথানপাড়া গ্রামের রকিবুল ও হাড়িয়াদহ গ্রামের সাহিবুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, নারগিছ মেম্বার ও তার লোকজন অনৈতিক সুবিধা নেয়া ও ইউপির ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিনি তার লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে চাল লুটসহ হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেন। এর সুষ্ঠু বিচার না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচী নেওয়া হবে।
এদিকে এ ঘটনাটি সম্পুর্ণরুপে অস্বীকার করে মহিলা ইউপি মেম্বার নারগিছ বলেন, তিনি তার ওয়ার্ডের কয়েকজনের চালের কার্ড থাকা সত্বেও তাদেরকে চাল দেওয়া হয় না। এ বিষয়টি জানতে সেখানে যান তারা। এসময় সারগিদুল ও তার লোকজন তাদের উপর হামলার প্রস্তুতি নেয় চেয়ারম্যান সারগিদুল। প্রাণ বাঁচাতে ইউপি কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে আসেন তারা।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, ইউপি কমপ্লেক্স ভাংচুরের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধারের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
গাংনীর রাইপুর ইউপি কমপ্লেক্সের প্যানেল চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ



