স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গায় জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচাল মোঃ মাসুদুর রহমান সরকার।
সভায় কার্যবিবরণীতে বলা হয়, খরিপ মৌসুমে আমন ধান, সবজি, মাসকলাই ও অন্যান্য ফসলের আবাদ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ডিলারগণকে বরাদ্দ অনুযায়ী সার উত্তোলণপূর্বক নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের বিতরণ করতে হবে।
সেপ্টেম্বর মাসে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইউরিয়া সার বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ৫৩৪ মেট্রিক টন । ইউরিয়া সার মজুদ ছিল ৩ হাজার ৮১৭ মেট্রিক টন।
চলতি মাসে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইউরিয়া সার বরাদ্দ করা হয় ৪ হাজার ৬৭১ মেট্রিক টন। বর্তমানে ইউরিয়া সার মজুদ আছে ৩ হাজার ৩৮৩ মেট্রিক টন।
সেপ্টেম্বর মাসে টিএসপি সারের বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৩৬৯ মেট্রিক টন । টিএসপি সার মজুদ ছিল ৪১৪ মেট্রিক টন।
চলতি মাসে টিএসপি সার বরাদ্দ করা হয় ১ হাজার ৮১৯ মেট্রিক টন। বর্তমানে টিএসপি সার মজুত আছে ৩৯৪ মেট্রিক টন।
সেপ্টেম্বর মাসে জেলায় ডিএপি সারের বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৭৪৯ মেট্রিক টন। ডিএপি সার মজুদ ছিল ১ হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন।
চলতি মাসে ডিএপি সারের বরাদ্দ করা হয় ৩ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টন। বর্তমানে ডিএপি সার মজুদ আছে ১ হাজার ১৬০ মেট্রিক টন।
সেপ্টেম্বর মাসে জেলায় এমওপি সারের বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৬১১ মেট্রিক টন। পূর্বের মাসের সার থাকায় এমওপি সারের মজুদ ছিল ১ হাজার ৭০৪ মেট্রিক টন।
চলতি মাসে এমওপি স্যারের বরাদ্দ করা হয় ২ হাজার ০০৪ মেট্রিক টন। বর্তমানে এমওপি সার মজুদ আছে ১ হাজার ৫৩২ মেট্রিক টন।
সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, বর্তমানে সারের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম। কৃষকেরা বাংলাদেশে উৎপাদিত টিএসপির প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। টিএসপি ও ডিএপি সারের মূল উপাদান ফসফেটের অনুপাত ৪৬ শতাংশ। তারপরেও কৃষকেরা ডিএপি না নিয়ে টিএসপি সার বেশি নিচ্ছে। এতে করে টিএসপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকদেরকে সকল প্রকার সার ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, জেলার যে যে ইউনিয়ন গুলোতে বিসিআইসি স্যারের ডিলার নেই, সেই ইউনিয়ন গুলোতে বিসিআইসি সার ডিলার নিয়োগ করতে হবে। সার কৃষকের হাত পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। কৃষকরা যাতে পরিপূর্ণ সার পায় তার জন্য কৃষি কর্মকর্তা ও সার ডিলারদের যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সার বিতরণের সময় যাতে কোন রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে তার জন্য গ্রাম পুলিশ ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তাছাড়া সার মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যারাই সাজাপ্রাপ্ত হবেন তাদের ডিলারশিপ বাতিলের জন্য প্রস্তাব পেশ করা হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর হোসেন, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম, জেলার বিএডিসি ও বিসিআইসি সার ডিলারগণ।



