মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে অবৈধ বাঁধ অপসারণ

দামুড়হুদা অফিস

দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে মাথাভাঙ্গা নদীতে দেওয়া অবৈধভাবে দুইটি বাঁধ অপসারণ করেছেন উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের সহায়তায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ তাসফিকুর রহমানের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টর অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় অভিযুক্ত কাউকে ঘটনা স্থানে পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, উপজেলার সুবলপুর ও আমডাঙ্গা গ্রামে মাথাভাঙ্গা নদীর স্বাভাবিক স্রোতধারাকে বাঁধ সৃষ্টি করে স্থানীয় কতিপয় কয়েকজন অবৈধভাবে মাছ শিকার করে আসছিলেন। এমন অভিযোগ প্রেক্ষিতে উল্লেখিত স্থান দুটিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন। অভিযান পরিচালনা কালীন সময়ে অভিযুক্ত কাউকে না পাওয়াই ঘটনাস্থান থেকে অবৈধ বাঁধ অপসারণ পূর্বক দুইটি কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়।অভিযান পরিচালনা কালে সহযোগিতা করেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক মহলদার, দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আসাদসহ পুলিশের একটি টিম।

স্থানীয়রা জানান, অভিযান পরিচালনার ফলে মাথাভাঙ্গা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনঃস্থাপিত হয়েছে। প্রশাসনের এমন অভিযানে প্রকৃত জেলে সহ সচেতন মহল স্বস্তি প্রকাশ করে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাদের দাবি, এমন অভিযান চলমান রাখলে দেশী মাছের প্রজজন বৃদ্ধি পাবে, একই সাথে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক থাকায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কাও কমবে।

নদীই বাংলাদেশের প্রাণ, তা রক্ষায় সকলকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দেওয়া কারণে নদী যেমন নব্যতা হারাচ্ছেন, ঠিক তেমনি ভাবে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। এ লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের সহায়তায় অবৈধ বাঁধ অপসারণ অভিযান চলমান রয়েছেন।এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা মৎস দপ্তর ও দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ফলে মাথাভাঙ্গা নদীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী উপাদান, অবৈধ ভাবে দুইটি বাঁধ বা কোমর অপসারণ করতে সক্ষম হয়। নদী দখল ও অবৈধ বাঁধ নির্মাণ কারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান রয়েছে, সর্বোপরি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *