চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামসুজ্জামান দুদু

স্টাফ রিপোর্টার

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা জনসাধারণের মাঝে প্রচার করেছেন বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট শামসুজ্জামান দুুদু। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে নিজ বাসভবন থেকে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শুরু করেন। এরপর বড় বাজার, হাসান চত্বর ও কাঁচা বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।

গসসংযোগ ও লিফলেট বিতরনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জামান দুুদু জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করা প্রসঙ্গে বলেন, সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। সকলের ভিন্নমত পোষনের সুযোগ আছে। যেসব দল ভিন্নমত পোষণ করে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি আমাদের ধারনা তারা ভবিষ্যতে স্বাক্ষর করবে। কেননা, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন যেসব দল স্বাক্ষর করেনি, তাদের জন্য ভবিষ্যতেও সুযোগ আছে। বিএনপি সরকার গঠন করলে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে দেশের উন্নয়ন গতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শামসুজ্জামান দুুদু আরো বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও অন্যান্য দল মিলে ৩১ দফা দাবী প্রস্তাব করেছে। আগামীতে বিএনপি দল ক্ষমতায় আসলে এই ৩১ দফার আলোকে মানুষের, রাষ্ট্রের ও দেশের যে উন্নয়ন ও গতিশীলতা সেটি প্রতিষ্ঠিত হবে। চুয়াডাঙ্গার সকল মানুষের কাছে ৩১ দফা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিএনপির সকল নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে এসেছে। গতকাল জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে। অনেকেই ধারণা করেন জুলাই সনদের প্রেক্ষিতে অন্যান্য কর্মসূচি গুলো এখন গতিশীলতা পাবে। বিশেষ করে নির্বাচনের আর কোন সমস্যা নাই। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে বলা হয়েছে, সেটি সঠিক সময় হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। পার্টি যাকেই মনোনীত করুক ধানের শীষে সীল দেওয়ার প্রচারণা আজকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকলের সহযোগিতা আমাদের আগামী দিনের পথ চলায় গতিশীলতা আনবে। বিএনপি’র বিগত ১৬ বছরের যে লড়াই, বেগম খালেদা জিয়ার যে লড়াই, দেশনায়ক তারেক রহমানের যে লড়াই সেটি এখন সফল হওয়ার পথে। সকলের সহযোগিতা আমাদের কাম্য।

গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাবেক সাবেক সদস্য আবু জাফর, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামীম রেজা ডালিম, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মইনুল হোসেন, বিএনপি নেতা রবিউল মল্লিক, আক্তারুজ্জামান আক্তার, ওয়াজিউর রহমান মানিক, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, সহ-সভাপতি আরিফুজ্জামান পিন্টু, সহ-সভাপতি মাগরিবুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক পিনু মুন্সী, উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সাবেক কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন, সাবেক যুবদল নেতা ফারুক মল্লিক, সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এম.এইচ মোস্তফা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মকলেচুজ্জামান মকলেচ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম.এ তালহা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনজুরুল জাহিদ, সহ-সাংঠনিক সম্পাদক তৌফাকুর রিংকু, প্রকাশনা সম্পাদক জুয়েল রানা, বিজ্ঞান ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহেদ আলামিন, সহ-কোষাধ্যক্ষ সাকিল আহমেদ শুভ, বন ও পরিবেশক বিষয়ক সম্পাদক আবু নোমান পাপন, সহ-দপ্তর সম্পাদক সোহেল রান, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিম আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শেখ শাহাবাজ সুজন, সহ-সভাপতি সোহেল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবাবিল হোসেন সাদ্দাম ও আশরাফুল আলম দোদুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক হিরক আহমেদ, সদর ছাত্রদলের আহবায়ক আনিসুর রহমান আনিস, যুগ্ম আহবায়ক আল বেলাল, সদর থানা ছাত্রদল সদস্য খালেকুর রজামান বাঁধন ও রিমন আহামেদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদল আহবায়ক ফয়সাল ইকবাল, যুগ্ম আহবায়ক রুবেল, ছাত্রদল নেতা শাহিন, শ্রমিকদল নেতা জয়নাল, সদর উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি আনিচ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক টোটন খান, জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি রানা হামিদ, সিনিয়র সভাপতি আরিফুল ইসলাম রনি, সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন, হিন্দু বৌদ্ধ কল্যাণ ফ্রন্টের আহবায়ক অপূর্ব সাহা, যুবদল নেতা সুজন মন্ডল প্রমুখ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *