নিশান মিয়া, তিতুদহ প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সাথে তার কার্যালেয় পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সৌজন্যে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার রাত ৯ টা দিকে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান হয়। সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের একান্ত সহকারী সচিব আশিকুর রহমান সমী।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত জেলা চুয়াডাঙ্গা। এর মোট আয়তনের অনাবাদি জমি আছে ২.৫৪ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে বসবাস মানুষ ও অন্য প্রাণিকুল। এই জেলায় ছোট বড় জলাশয় থাকার কারনে মেছো বিড়ালের আধিক্য দেখা যায়। কিন্তু মানুষের সাথে বিরোধ এখন তুঙ্গে। প্রতিনিয়ত মেছো বিড়াল মারা পড়ছে।
একটি মেছো বিড়াল তার ১০ বছরে কৃষকের ৫০ লক্ষ টাকার ফসল রক্ষা করে। তাই কৃষকের অকৃত্রিম বন্ধুর রক্ষায় জন সচেতনতা গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই বার্তা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ জেলায় উপস্থিত হয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের একান্ত সহকারী সচিব আশিকুর রহমান সমী। তিনি বিভিন্ন স্পটে প্রচারণা শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এসিএফ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন, বাংলাদেশ ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড নেচার ইনিশিয়েটিভ এর সভাপতি আহসান হাবীব শিপলু এবং সংগঠনের সদস্যরা।
বাংলাদেশ ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড নেচার ইনিশিয়েটিভ এর সভাপতি বলেন, জেলা প্রশাসক এর সাথে আমাদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মেছো বিড়াল এর পর্যাপ্ততার ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা লক্ষে বেশ কয়েকটি কার্যকারি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাছাড়া জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠনের সাথে মেছো বিড়াল রক্ষার্থে আলোচনা সভার আয়োজন করা বিষয়ে কথা হয়। এই সময় সংস্থার বায়জিদ, নিরব, জিসান, আবদুল্লাহ ও বন বিভাগের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।