স্টাফ রিপোর্টার
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৫ এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। যশোর বোর্ড থেকে এইচএসসিতে পাশ করেছে ৫০.২০ শতাংশ পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৯৯৫ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ আসমা বেগম। চুয়াডাঙ্গা জেলা গত বছরের ৮ম অবস্থান থেকে ৪র্থ অবস্থানে উঠে এসেছে। এবার এই জেলার পাসের হার ৫০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত বছর এই জেলার পাসের হার ছিল ৫৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গত বছর পাশের হার বেশি থাকলেও এবছর যশোর বোর্ডের দশটি জেলার মধ্যে ৪র্থ স্থানে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা।
জেলার ২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৬হাজার ৯৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৪৯৫ জন কৃতকার্য হয়েছে। তুলনামূলকভাবে দেখা গেছে পরীক্ষার ফলাফলে মেয়েরা এগিয়ে। ১ হাজার ৫৬০ জন ছাত্র ও ২ হাজার ৯৩৫ জন ছাত্রী এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে। জেলার ১২ টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে ৩ হাজার ১৭১ জন পরীক্ষার্থী। চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে ৬৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪১৪ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাশের হার ৬১ দশমিক ৬১ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬ জন পরীক্ষার্থী। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে পাশের হার ৮৮ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৬০ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ১১০ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৮ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে।
যশোর বোর্ডের মোট ১০ টি জেলার মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে আছে চুয়াডাঙ্গা জেলা। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে যশোর বোর্ডে প্রথম অবস্থানে আছে যশোর জেলা। দ্বিতীয় স্থানে খুলনা, তৃতীয় সাতক্ষীরা, চতুর্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা। পঞ্চম অবস্থানে কুষ্টিয়া, ষষ্ঠ মেহেরপুর, সপ্তম নড়াইল, অষ্টম ঝিনাইদহ নবম বাগেরহাট এবং সর্বশেষ দশম স্থানে রয়েছে মাগুরা জেলা।
জীবননগর অফিস জানায়, জীবননগর উপজেলায় চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ৮৪ জন পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৫৮ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার ৫১.৪৮ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ জন। জেনারেল শাখা থেকে ৮৬৭ শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৯৭ জন। বিএম শাখা থেকে ১০১ জনের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৬৩ জন। আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ১১৬ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষা দিয়ে ৯৮ জন পাস করেছে।
ভালো ফলাফলের দিক দিয়ে উপজেলার শীর্ষে রয়েছে হাসাদাহ মডেল কামিল মাদ্রাসা। এই প্রতিষ্ঠানে পাসের হার ৯২.৭৩ শতাংশ। উপজেলায় ফলাফলে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে আন্দুলবাড়িয়া কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানে ৫২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে মাত্র ৯ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ দিক থেকে উপজেলায় শীর্ষে রয়েছে জীবননগর সরকারি আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ ৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
মেহেরপুর অফিস জানায়, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে মেহেরপুর জেলায় এবারের গড় পাসের হার ৪৮%। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় সারা দেশে এক যোগে ফলাফল প্রকাশিত হয়। চলতি বছর যশোর শিক্ষা বোর্ড, কারগিরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেলার ৩৪ টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট পরীক্ষার্থী ৪৫৮৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। ফলাফলে মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২২৬ জন পাস করেছে। এতে মেহেরপুর জেলায় পাসের হার ৪৮%। তবে পাসের হারে জেলার শীর্ষে গাংনীর সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের পাসের হার ৯৪%।
মেহেরপুর সদর উপজেলায় মেহেরপুর সরকারি কলেজের মোট ৫৪৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩১৮ জন। পাসের হার ৫৮%, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের ৭৩১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৪৬৪ জন, পাসের হার ৬১.২%, ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ বর্তমান নাম মেহেরপুর পৌর কলেজের ৩৯৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৮১ জন, গড় পাশের হার ৪৬%, যাদুখালি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় ৭১ জন অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৯ জন, পাসের হার ১৩%, এ আরবি কলেজ থেকে ৭২ জন অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২৬ জন, গড় পাসের হার ৩৬%।
গাংনী উপজেলার বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১০৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৯৭ জন, গড় পাসের হার ৯৪% যা মেহেরপুর জেলায় সর্বোচ্চ। গাংনী সরকারী কলেজের ৩১৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৯৪ জন, গড় পাশের হার ৪৭%, গাংনী মহিলা কলেজের ২৫৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১২৬ জন, গড় পাশের হার ৪৯%, কাজিপুর ডিগ্রি কলেজের ১৭২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৫৯ জন, গড় পাশের হার ৫২%, মড়কা জাগরণ কলেজের ৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১ জন, গড় পাশের হার ৩৩%, বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ বর্তমান তেরাইল জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজের ১০২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৪১ জন, গড় পাশের হার ৪০%, বামুন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৫০ জন, গড় পাশের হার ২৪%, করমদি ডিগ্রি কলেজের ১৯৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৪৬ জন, গড় পাশের হার ৩১%। গাংনী পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৪৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৭২ জন গড় পাশের হার ৪৮%, কুতুবপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১০ জন, গড় পাশের হার ৬২%, বিএন কলেজের ১৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
মুজিবনগর উপজেলায়, মুজিবনগর সরকারী কলেজের ৩২২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৩২ জন, গড় পাশের হার ৪১%, মহাজনপুর মহাবিদ্যালয়ে ৬৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১০ জন, গড় পাশের হার ১৫%, মুজিবনগর আদর্শ মহিলা কলেজের ৬৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২৩ জন, পাসের হার ৩৬.৫%।
কারগিরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে, এইচএসসি বিএম শাখায় মেহেরপুর সদরে মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের ৭৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২৭ জন, গড় পাশের হার ৩৫%, মেহেরপুর সেকেন্ডারী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৯ জন, গড় পাশের হার ৮৬%, গাংনী উপজেলায় গাংনী পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে