জীবননগর অফিস
জীবননগরে দীর্ঘ ১২ বছর বেদখলে থাকা জমি আদালতের মাধ্যমে ফিরে পেলেন জামেনা খাতুন। ঢোল পিটিয়ে ও লাল কাপড় টানিয়ে তার জমি বুঝিয়ে দিয়েছেন আদালতের লোকজন। জমি ফিরে পেয়ে সরকার ও আদালতের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তিনি। শনিবার দুপুরে উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়নের পুরন্দপুর গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের স্ত্রী জামেনা খাতুনের ১৮ শতক জমি চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের লোকজন জীবননগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় জমির সীমানায় লাল কাপড় টাঙিয়ে দেয়। পরে ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা দেয় আদালতের নির্দেশে আজ থেকে এই জমির মালিক তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরন্দপুর গ্রামের ১৮ শতক জমি জোররপূর্বক দখল করে আসছিল একই গ্রামের মৃত জেহের মন্ডলের পুত্র তোতা মন্ডল ও তার শরীকরা। পরে ২০১২ সালে নিজ জমি ফিরে পেতে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে আদালত তার পক্ষে রায় দেয়। এরপর আদালতের নির্দেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন সীমানা নির্ধারণ করে লাল কাপড় টানিয়ে দিয়ে ঢোল পিটিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে মালিককে বুঝিয়ে দেয়।
জমির মালিক জামেনা খাতুন জানান, দীর্ঘ ১২ বছর পর আদালত আমার জমি বুঝিয়ে দিলেন। আমি আদালতের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। পৃথিবীতে এখনো ন্যায়বিচার টিকে আছে।
জামেনা খাতুনের পুত্র আনভির আব্দুল্লাহ জানান, আমরা প্রথমে ফৌজদারি ও সিভিল মামলা করে রায় পাই। পরে আরেকটি মামলায় রায় পেলে বিবাদীপক্ষ আপিল করলে আদালত তাদের মামলা খারিজ করে দেয়। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মামলা চলার পর আদালতের লোকজন জনসম্মুখে আমাদের জমি বুঝিয়ে দেয়। আমি আদালত ও আইনের প্রতি চিরঋণী থেকে গেলাম। আমাকে আদালত আমার জমি সম্পূর্ণরূপে বুঝিয়ে দিল। বাদী পক্ষের সাক্ষী মোজাম্মেল হক জানান, সিভিল মামলায় আমি সাক্ষী ছিলাম। যা দেখেছি তাই আদালতে বলেছি। আজ আমি খুব খুশি দীর্ঘদিন পর হলেও জমির সঠিক মালিক তার জমি বুঝে পেয়েছেন। আমি আদালতের প্রতি সন্তুষ্ট।
চুয়াডাঙ্গা দায়রা জজ আদালতের নাজির নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার রায় পাওয়ায় দখল নিতে আবেদন করেছিলেন বাদী। আমরা বিচারকের নির্দেশে পুলিশের সহযোগিতায় জমির দখল বুঝিয়ে দিয়েছি।