জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৫ উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার

‘আমি কণ্যাশিশু স্বপ্নগড়ি, সাহসে লড়ি, শের কল্যাণে কাজ করি’ এই প্রতিপ্যা বিষয়টিকে ধারণ করে চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় কণ্যাশিশু দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর দিবসটির আয়োজন করে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে সমাপ্তি হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব উল ইসলাম। চুয়াডাঙ্গা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মাকসুরা জান্নাত স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরে তার  সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশিদ।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জুলাই যোদ্ধা হাসনা জাহান খুশবু, স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সংগঠনের নেত্রী লিজা হুসাইন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষনার্থী সুরাইয়া আক্তার, শিলা খাতুন, স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী জাফরিন তাবাসসুম। আলোচনা সভায় বক্তারা কন্যা শিশুদের অধিকার, নিরাপত্তা ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং পরিবার ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের আহ্বান জানান। আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন কালেক্টরেট জামে মসজিরে ইমাম ক্বারি কবীর আহম্মে। আলোচনা সভা শেষে জাতীয় কণ্যাশিশু দিবসের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

মেহেরপুর অফিস জানিয়ে, আমি কন্যশিশু স্বপ্নগড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি” স্লোগানে মেহেরপুরের গাংনীতে পালিত হয়েছে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় গাংনী উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা আনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাংনী উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আযোজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন। উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুর রহমানের সঞ্চালানয় বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোত্তালেব আলী, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আল মাসুম, সাংবাদিক রফিকুল আলম বকুল, তথ্য আপা রিফাত জাহান। আলোচনা সভা শেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়ে, ‘আমি কন্যা শিশু- স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ কর’ -এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আলমডাঙ্গায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে  এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে আবার উপজেলা পরিষদ চত্বর এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদী ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে  বলেন, ‘আজকে সময় এসেছে আমাদের কন্যা শিশুদের সকল বৈষম্য দুর করে তাদের আগামীর ভবিষ্যতের উন্নয়ন অগ্রগতির  রাস্তা তৈরি করে দিতে হবে।  তিনি সকল কন্যা  শিশুর সাফল্য কামনা করেন।’

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাতের  সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, বিআরডিবি কর্মকর্তা সেলিম রেজা, হারদী হাসপাতালের ওসিসি হিরোজ কবির, নারী উদ্যোক্তা হেলেন আক্তার কামনা প্রমুখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সংগঠনের নারী নেতৃবৃন্দরা।

                  দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়ে, দামুড়হুদায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যলি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে! গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় সপ্নগড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি এই স্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এই আলোচনা সভা, র‌্যলি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহানের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আল সাবাহ্, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান কাজল, সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম রসূল, সহকারী মৎস কর্মকর্তা ফারুক মহলদার, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলা আশরাফুল আলম, মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সুমন আলীসহ মহিলা বিষয়ক ক্লাবের সদস্য, ও উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ।

আলোচনা সভায় বক্তারা জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বলেন কন্যশিশু হলো মায়ের জাতি। আজকের কন্যা হলো আগামী প্রজন্মের মা! ইসলাম ধর্মমতে মায়ের পায়ের তলায় সন্তানের জান্নাত। কন্যা সন্তান হোক আর ছেলে সন্তান হোক এবিষয়ে পার্থক্য না করে আমরা সবাই মা বাবার সন্তান এটাই হোক বড় পরিচয়।বর্তমানে একজন কন্যা বা নারী দেশ সেবায় নিয়োজিত অফিসার,  মা বা সাংসারিক গৃহীনি, ব্যবসায়ি, সমাজ সেবক, ধর্মীয় জ্ঞান গরীমায়সহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে সকল ক্ষেত্রে আজকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ছেলে সন্তানের চেয়ে কন্যা সন্তান কোন ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই। সুতরাং আমাদের ছেলে সন্তান হোক আর মেয়ে সন্তান হোক সকলকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন  উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করাপ হয়!

জীবননগর অফিস জানিয়েছে, জীবননগরে নানা আয়োজনে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত হয়েছে। ‘আমি কন্যাশিশু স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে  কন্যা শিশু দিবস পালন করা হয়।এ দিবস উপলক্ষে কন্যা শিশু,  ছাত্রী  শিক্ষক ও অভিভাবকদের অংশগ্রহনে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  হয়। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় জীবননগর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক  বালিকা বিদ্যালয়ের কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাজুল ইসলামের  দসভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-আমীন হোসেন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জীবননগর সরকারি  পাইলট মাধ্যমিক বালিকা  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যাদব কুমার প্রমাণিক, সহকারী প্রধান শিক্ষক গাজী মমিনউদ্দিন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল জব্বার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জুয়েল রানা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হায়াত, কিশোর কিশোরী ক্লাব কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম , ফিরোজ অর রশিদ সহ প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, কন্যা শিশু সমাজের বোঝা নয়। কন্যাশিশুকে সঠিকভাবে লালনপালন করলে তারাই বড় হয়ে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে অবদান রাখতে পারবে। শিশুদের সামাজিক ও পারিবারিক বৈষম্য দূরীকরণে প্রত্যেক নাগরিককে ভূমিকা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে পরিবার। কন্যাশিশু প্রতিটি পরিবারের জন্য আশীর্বাদ। নিপীড়ন, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংসহ সামাজিক অবিচার থেকে কন্যা শিশুদের সুরক্ষার দায়িত্ব সমাজ ও পরিবারের দায়িত্বশীলদের নিতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *