স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বেলায়েত হোসেনের সাথে গণমাধ্যম কর্মিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা পিপিএম এর সভাপতিত্বে আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (চুয়াডাঙ্গার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) বেলায়েত হোসেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন। চুয়াডাঙ্গায় চাকুরীকালীন সময়ে নানা অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন। সংবাদিককরা তার কর্মকান্ডের ভালো দিক তুলে ধরেন। পরে অতিরিক্ত ডিআইজি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের কারণ ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন- গত ৩দিন ধরে পুলিশ লাইনে আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ এর শেষ দিন। আমি দেখতে এসেছি নির্বাচন সংক্রান্ত আইন কানুন কতটুকু পুলিশ সদস্যরা শিখতে পারছে।
বেলায়েত হোসেন বলেন, সারাদেশে ১৩০টি ভেনুতে সকল পুলিশ সদস্যদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের ধারণা অনুযায়ী প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্য সারাদেশে নির্বাচনী কর্মকান্ডে জড়িত থাকবে। তাদের প্রত্যেকেরই প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এজন্য বর্তমানে ইন্সপেক্টর থেকে কনস্টেবল সকলেরই প্রশিক্ষণ চলছে। ইন্সপেক্টর জেনারেল ১৫০ পুলিশ কর্মকর্তাকে হেডকোয়ার্টারে ডেকে মাস্টার ট্রেনার হিসেবে গড়ে তুলেছেন। সেই মাস্টার ট্রেনারগণ বিভিন্ন ভেন্যুতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রেনার গড়ে তুলেছেন। সেই সকল ট্রেনারগণ এখন পুলিশ সদস্যদেরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য তিনটি। একটি হচ্ছে নির্বাচন সংক্রান্ত যত কর্মকাণ্ড আছে সেই কর্মকাণ্ডে প্রয়োজনীয় আইন, বিধি-বিধান পরিপত্র এগুলো সম্পর্কে পুলিশ সদস্যকে অবগত করা। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে দক্ষতা উন্নয়ন করা। প্রয়োজনীয় যে সমস্ত উপকরণ তার ব্যবহার সম্পর্কে অবগত হওয়া। তৃতীয় বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটি হচ্ছে মনোভাবের পরিবর্তন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা মতে, বাংলাদেশে যে একটি নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার যে মনোভাব প্রয়োজন সেই মনোভাব তৈরি করা। আমি মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ড পরিদর্শনে এসে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে এক প্রশিক্ষণার্থীর কাছে গিয়ে বুঝলাম, নির্বাচনে কি কি আইন জানতে হবে সেটি তারা বুঝে গেছে। তারা প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো ব্যবহার করা শিখে গেছে। এছাড়া যে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের যে মনোভাবের পরিবর্তন, ইতিবাচক পরিবর্তন প্রয়োজন। আমি লক্ষ্য করলাম সকল পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যে উদ্দীপনা এতে করে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। একটা সুন্দর, সুস্থ পরিবেশ আসছে এই পরিবেশে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবো।
মতিবিনিময় সভায় আলোচনায় অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, সাধারন সম্পাদক বিপুল আশরাফ, সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, বাংলাদেশে বেতারের হুসাইন মালিক, দেশ টিভি খাইরুজ্জামান সেতু, সময়ের সমীকরণ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক সানভী, ডিবিসি নিউজের কামরুজ্জামান সেলিম, যমুনা টিভির জিসান আহমেদ প্রমুখ।